বিষ খেয়ে আত্মঘাতী একই পরিবারে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের। ঘটনাটি সোমবার গভীর রাতে বীরভূম জেলার পারুই থানার অন্তর্গত মহুলা গ্রামের। পারিবারিক কলহ বলে এ আত্মহত্যার কারণ বলা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশান্ত পাত্র, তাঁর স্ত্রী তৃপ্তি এবং ছেলে দীপক একসঙ্গে বিষ খেয়েছিলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেয়, পরে পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকে বোলপুর ডিপার্টমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। এখানে চিকিৎসকরা মা ও ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেছেন, প্রশান্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকে কিন্তু পরে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে পরিবার এই আত্মহত্যার ঘটনার জন্য সাতজনকে দায়ী করেছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, পরিবারে সবসময় অশান্তি লেগেই থাকত। স্ত্রীর সঙ্গে প্রশান্তের সম্পর্ক ভালো ছিল না। আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য এই ব্যক্তিরা যে সাতজনকে দায়ী করেছে তারা তাদের পরিবারের সদস্য নন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃপ্তি পাত্রের বিয়ে হয়েছিল মহুলা গ্রামের প্রশান্ত পাত্রের সঙ্গে। তাদের একটি ছেলেও হয়। তার নাম দীপ পাত্র। প্রশান্তের মায়ের সঙ্গে তার স্ত্রীর প্রায়ই ঝগড়া হতো বলে জানা গেছে। শাশুড়িও ছেলের স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অশান্তির জেরেই ছেলে ও স্ত্রীসহ বিষপান করে আত্মহত্যা করেন প্রশান্ত। প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মা-ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রশান্তও মারা যায়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসীরা। তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী জানান। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment