দক্ষিণ দিনাজপুর: হিলি-তুরা করিডর প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবীতে বাংলাদেশের দ্বারস্থ আন্দোলনকারীরা। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপের কাছে দরবার জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর কমিটির সদস্যদের। দাবী সনদ পেশ করে হিলি থেকে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত করিডর প্রকল্পটির কাজ তরান্বিত করতে আবেদন করেন ওই কমিটির সদস্যরা। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আশাবাদী আন্দোলনকারীরা।
জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর কমিটির ভারতের সদস্যরা কিছুদিন আগে বাংলাদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে ওই কমিটির দু'দেশের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে করিডর প্রকল্প বাস্তবায়নের কৌশল বিনিময় করেন। এরপর বাংলাদেশের দিনাজপুরের সংসদ সদস্য জনাব শিবলী সাদিক সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর হাতে হিলি থেকে তুরা করিডর প্রকল্পের নথিপত্র তুলে দেন।
করিডর কমিটির সদস্যরা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের কাছে দাবী সনদ পেশ করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে আবেদন জানান। দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কুশল বিনিময় হয়। ভারতের পক্ষ থেকে করিডর কমিটিতে উপস্থিত ছিলেন নবকুমার দাস, অমূল্যরতন বিশ্বাস, কার্ত্তিক সাহারা। ভারতে ফিরে প্রকল্পটি নিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিটির সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, ভারতের বালুরঘাট থেকে হিলি হয়ে বাংলাদেশের গাইবান্ধা ভায়া মেঘালয় রাজ্যের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ স্থাপন করতে এক দশক থেকে আন্দোলন করছে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর। গত অধিবেশনে প্রকল্পটি নিয়ে সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সড়ক পরিবহন মন্ত্রকে সরব হয়েছিলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। দিল্লীতে বিভিন্ন মন্ত্রকের প্রতিনিধির কাছে দাবী পেশ করে সরব হয়েছেন ওই কমিটির সদস্যরা। মাসখানেক আগেই প্রকল্পটির জন্য সাত হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়েছে রেলের কাটিহার ডিভিশন। বরাদ্দ হলেই প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদী সকলে।
এদিকে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে সেদেশের প্রতিনিধিদের কাছে প্রকল্পটির দাবী জানিয়েছেন আন্দোলনেকারীরা। কার্যত প্রকল্পটি দ্রুত তরান্বিত করতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না তাঁরা। এছাড়াও এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকও সরব হয়েছেন। দ্রুত এই করিডর বাস্তবায়ন হতে পারে বলেও তিনি জানান।
No comments:
Post a Comment