শীতকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা গেলেও গ্রীষ্মকালে কেউ কেউ ঠোঁট ফাটার ও শুষ্কতার অভিযোগ করেন। শরীরে জলশূন্যতার কারণে এমনটা হতে পারে। গ্রীষ্মকালে যেমন আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি গ্রীষ্মকালে আমাদের ঠোঁটকে হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন।
নারকেল তেল
নারকেল তেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁট ফাটা সমস্যা দূর হয় এবং ঠোঁটও নরম হয়।
গ্রিন টি ব্যাগ
আমরা ব্যবহার করার পর গ্রিন টি ব্যাগ ফেলে দেই, কিন্তু যদি আপনার ঠোঁট শুষ্কতার কারণে পুড়ে যায় তাহলে গ্রিন টি ব্যাগ আপনাকে স্বস্তি এনে দিতে পারে। এর জন্য একটি গ্রিন টি ব্যাগ হালকা গরম জলে রেখে তা বের করে নিন এবং তারপর ঠোঁটে রাখুন। নিয়মিত গ্রিন টি ব্যাগ ব্যবহার করলে ঠোঁটের জ্বালাপোড়ায় আরাম পাওয়া যায়।
মধু
আয়ুর্বেদে মধুর অনেক অলৌকিক প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে । ফাটা ঠোঁটের জন্যও আমরা মধু ব্যবহার করতে পারি। আপনি যদি আপনার ঠোঁট ফাটা এবং শুষ্কতা এড়াতে চান, তাহলে পেট্রোলিয়াম জেলির সাথে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ফাটা ঠোঁটে আরাম পাওয়া যায়। এছাড়া এটি ঠোঁটকেও নরম করে।
শসা
গ্রীষ্মের মৌসুমে বাজারে শসা সহজেই পাওয়া যায়। শসার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ জল পাওয়া যায়। তাই গরমে এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। 10 থেকে 15 মিনিটের জন্য আপনার ঠোঁটে শসার রস লাগানো আপনার ঠোঁট নরম করতে অনেক সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment