বিয়ের পর মেয়েদের দায়িত্ব বেড়ে যায়। শ্বশুর-শাশুড়ির ও সংসারের দায়িত্বও বেড়ে যায়। অনেক পুত্রবধূ তাদের শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কের দায়িত্ব সহজেই সামলান। একই সঙ্গে কারুকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। কিভাবে তৈরি করবেন শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক,জেনে নিন এই প্রতিবেদনে ।
কমিউনিকেশন গ্যাপ দূরত্ব বাড়ায় -
অনেক সময় বিয়ের পর যখন একজন নারী নতুন পারিবারিক পরিবেশে চলে যান, তখন অনেক সময় এমন হয় যে, শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয় এবং তারা দুজনেই একে অপরের প্রতি রাগ করেন। ফলে শাশুড়ি এবং পুত্রবধূ উভয়ই একে অপরের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন। কিন্তু দুজনের মধ্যে যেন কোনও কমিউনিকেশন গ্যাপ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। কারণ কমিউনিকেশন গ্যাপ থাকলে সম্পর্কের দূরত্ব বাড়ে। তাই আপনারা যতই রাগ করুন না কেন, একে অপরের সাথে কথা বলতে থাকুন।
তৃতীয় জনকে মাঝখানে আসতে দেবেন না -
আপনার জীবনে কারো সাথে বিবাদ থাকলে একে অপরের সাথে কথা বলে সমাধান করা যেতে পারে। যখনই শ্বশুর বাড়ির কোনো সদস্যের সঙ্গে ঝগড়া হবে, তখন একে অপরের সঙ্গে কথা বলে তা সমাধানের চেষ্টা করুন। তৃতীয় কোনো ব্যক্তি যেন এই ঝগড়ায় জড়াতে না পারে। তৃতীয় কেউ জড়িত থাকলে বিষয়টি আরও বাড়তে পারে। ধরুন ননদ বা দেওর আপনার নামে শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে কিছু বলেছে, যার জন্য তারা আপনার উপর রাগান্বিত। এমন পরিস্থিতিতে, ননদ বা দেওর এবং শ্বশুর-শাশুড়ি সবার সাথেই সেই বিষয়ে কথা বলা উচিৎ যাতে বিবাদ মিটে যায়।
আপনার সমস্যা শেয়ার করুন -
সবাই সব ধরনের কাজ করতে সক্ষম নয়। তাই পুত্রবধূ যে কাজ করতে পারছে না সে বিষয়ে তার শ্বশুর-শাশুড়িকে বলা উচিৎ । সে তাদের সহায়তায় কীভাবে সেই কাজটি করতে হয় তা শিখতে পারে। কিন্তু পুত্রবধূ যদি এ ধরনের সমস্যা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা না বলেন, তাহলে উভয়ের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে পারে, যা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
স্বামীর কাছ থেকে সাহায্য পান -
শ্বশুর-শাশুড়ি আর পুত্রবধূ কেমন, এটা একমাত্র স্বামীই ঘনিষ্ঠভাবে জানতে পারেন। তাই শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের জানতে স্বামীর সাহায্য নিন। স্বামীর মাধ্যমে পুত্রবধূ শুধু পরিবারের সদস্যদের মতামতই জানতে পারে না, তাদের পছন্দ-অপছন্দও খুব দ্রুত বুঝতে পারে।
No comments:
Post a Comment