জেনে নিন কিভাবে একক সন্তানকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূর করে খুশি রাখবেন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 22 June 2022

জেনে নিন কিভাবে একক সন্তানকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূর করে খুশি রাখবেন


আজকাল অনেক বাবা-মা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যে শুধুমাত্র একটি সন্তান থাকবে এবং তাকেই ভালো ভাবে বড় করবেন।  তারা বিশ্বাস করেন যে, একটি সন্তান থাকলে তাদের জন্য অভিভাবকত্ব সহজ হবে এবং সন্তানও পূর্ণ ভালবাসা পাবে।  

কিন্তু, অনেক বাবা-মায়েরাও সন্তানকে একা লালন-পালন করার সময় কিছু দুশ্চিন্তায়  থাকেন ।  হেলথলাইনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, একা শিশুর বাবা-মায়ের চারপাশে কিছু নেতিবাচক চিন্তাভাবনাও তাদের ভয়ের কারণ। যদি শিশু একা সমস্ত যত্ন এবং মনোযোগ পায় তবে সে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।  তার রক্ষণাবেক্ষণ করা একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল কাজ এবং এটি করার সময়, অনেক কিছুর যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।

এক সন্তান লালন-পালনের সুবিধা -

# পর্যাপ্ত সময় এবং ভালো লালন-পালনের মাধ্যমে শিশুটি বেশ পরিণত হতে পারে।

# এক শিশু আরও বুদ্ধিমান এবং অনুপ্রাণিত হয়।

# শিশু ভালো শিক্ষা পায় এবং তার ভর্তিও ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে করা যায়।

# শিশু আরও সৃজনশীল হয় ।

# একা শিশুর আত্মবিশ্বাসও অনেক বেশি।

কিভাবে একটি শিশুকে একা বড় করবেন :

তার সামাজিক যোগাযোগ বাড়ান -

একমাত্র সন্তান সবসময় নিজের সাথে খেলে এবং তার কল্পনায় হারিয়ে যায়।  বাইরের বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে তার সমস্যা হতে পারে, তাই তাকে সামাজিক করার চেষ্টা করা যেতে পারে।  শিশুকে শেখানো যেতে পারে কীভাবে নতুন বন্ধু তৈরি করতে হয় এবং কীভাবে সামাজিক চেনাজানার মধ্যে কথা বলতে হয়।

সম্পর্কের মূল্যবোধ শেখান -

সন্তানের ভাইবোন থাকলে সে পারস্পরিক সম্পর্কের মূল্য বেশি বোঝে।  একা শিশু এই সমস্ত কিছু বোঝে না, তাই বাবা-মা সন্তানকে সম্পর্কের মূল্য দিতে শেখাতে পারেন।  ভাগ করা, যত্ন নেওয়া, যেখানে প্রয়োজন সেখানে আপস করা ইত্যাদির মতো বিষয়গুলি সম্পর্কে শেখানো উচিৎ।

তাকে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করতে দিন -

যেসব শিশু একা থাকে, তাদের দেখাশোনা এবং সমস্ত কাজ মা-বাবা করে দেয়, যার কারণে তারা স্বাবলম্বী হতে পারে না।  সে সবসময় পিতামাতার উপর নির্ভর করতে শুরু করে।  এমন পরিস্থিতিতে, প্রয়োজনে আপনার পিছিয়ে যাওয়া উচিৎ, যাতে আপনার সন্তান তার নিজস্ব পরিচয় তৈরি করতে পারে।

সন্তানকে একা বড় করা কঠিন নয়, শুধু কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি, যাতে শিশু সামাজিকভাবে মেলামেশা করতে পারে এবং একা থাকার কারণে একগুঁয়ে হয়ে না যায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad