বেআইনিভাবে নিয়োগের দায়ে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন ২৬৯ জন শিক্ষক। এবারে একই অভিযোগে, খাদ্য দফতরের ৬১৪ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করল স্যাট। সরকারি সূত্রের খবর, ২০১০ সালে অর্থাৎ বাম আমলে খাদ্য দফতরে ৬১৪ জন গ্রুপ-ডি কর্মীকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল, অনেক নিয়মকানুন মানা হয়নি সেখানে এবং তদন্তে এই অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়। ফলত, তাদেরও চাকরি বাতিল করে দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল।
শুধু তাই নয়, তৎকালীন সিলেকশন বোর্ডের ৫ সদস্য এবং এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে স্যাট।
স্যাটের বিচারপতি সৌমিত্র পাল ও প্রশাসনিক সদস্য সৈয়দ আহমেদ বাবার বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় গত ৮ই জুন। স্যাটের নির্দেশ, অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে খাদ্য দফতর যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে। এর জন্য ৮ সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। স্যাট বলেছে, 'এটা পরিষ্কার যে, নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ ও পক্ষপাতিত্ব হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রহসন হয়েছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে।
জানা গিয়েছে, গ্রুপ ডি'র এই কর্মীদের নিয়োগের সময় শুধু ইন্টারভিউ করা হয়েছিল। কোনও রকম লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। ২০১৬ সালের ১০ ই জুন হাইকোর্ট এই মামলাটি স্যাটে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। একদিনে সিলেকশন কমিটি যেভাবে ৮০০ জনের ইন্টারভিউ নেয়, তাতেই সন্দেহ হয় হাইকোর্টের।
সিলেকশন বোর্ডের দুজন সদস্যের নাম উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলে, তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা চাকরিপ্রার্থী ছিলেন। অথচ ওই দুইজন ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ছিলেন না, এমন কোনও দাবী, স্যাটের কাছে করা হয়নি বরং এটাই পরিষ্কার, কমিটির ৫ সদস্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন।
এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী গৌতম পাঠক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই রায়ের বিষয়টি নবান্নে জানানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment