সোমবার সকালে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি শিম্পাঞ্জি চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে বেরিয়ে এসে দর্শকদের কাছে পৌঁছে যায়। হঠাৎ তাদের মাঝে একটি শিম্পাঞ্জিকে দেখে দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তাড়াহুড়ো করে চিড়িয়াখানার কর্মীরা চিড়িয়াখানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়, যাতে শিম্পাঞ্জি বাইরে না আসে। পরে, চিড়িয়াখানার কর্মীরা শিম্পাঞ্জিকে আনুগত্য করার চেষ্টা করে এবং পরে শিম্পাঞ্জিকে খাঁচায় ফেরত পাঠানো যায়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চিড়িয়াখানার এক কর্মচারী শিম্পাঞ্জিকে খাওয়াতে গেলে গেট খোলা থাকে। এর সুযোগ নিয়ে শিম্পাঞ্জি বেরিয়ে যায়। কর্মচারী খাবার দেওয়ার পর ফিরে আসার পর দেখেন একটি শিম্পাঞ্জি নেই। এরপর শুরু হয় তার খোঁজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে চিড়িয়াখানার কর্মীরা বুড়ি নামের একটি শিম্পাঞ্জিকে খাওয়াতে গেলে খাঁচার মূল ফটক খুলে বুড়ি বেরিয়ে যায়। এরপরই চিড়িয়াখানার কর্মীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। চিড়িয়াখানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্মীরা শিম্পাঞ্জিটিকে ঘুম পাড়ানি ইঞ্জেকশন দিয়ে খাঁচায় পাঠায়। এই শিম্পাঞ্জি চিড়িয়াখানার সবচেয়ে ছোট শিম্পাঞ্জি। চিড়িয়াখানায় মোট চারটি শিম্পাঞ্জি রয়েছে।
বারো দিন আগে একইভাবে খাঁচা থেকে বের হয়েছিল শিম্পাঞ্জি। এই দ্বিতীয়বার খাঁচা থেকে বেরিয়ে এল বুড়ি। শিম্পাঞ্জির খাঁচার বাইরে একটি তারের বেড়া আছে, যা বিদ্যুৎ সংযোগ করে। বুড়ি দ্বিতীয়বার খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসার পর তার খাঁচার বাইরে তারের বেড়ার ভোল্টেজ বাড়ানোর কথাও ভাবা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment