জীবনের রস তখনই তৈরি হয় যখন ঘরে শান্তি থাকে। স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা একে অপরের প্রতি গভীর হওয়া উচিৎ। কিন্তু তা না হলে দাম্পত্য জীবন নষ্ট হয়ে যায়। চাণক্য নীতিতে স্বামী-স্ত্রীর ৬ প্রকার অভ্যাসের কথা বলা হয়েছে,যা কাটিয়ে ওঠা দরকার। এটা না করলে দাম্পত্য জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে বা ঘরে সবসময় কলহের পরিবেশ তৈরি হবে। আসুন জেনে নিই সেই ৬টি অভ্যাস সম্পর্কে।
# মিথ্যা কথা বলা -
স্ত্রী-স্ত্রীর সম্পর্ক নির্ভর করে বিশ্বাসের ওপর। তাদের মধ্যে মিথ্যার কোন অবকাশ নেই। দম্পতির মধ্যে কেউ যদি মিথ্যার আশ্রয় নেয়, তবে কিছুদিন পরে সত্য বেরিয়ে আসে এবং তারপরে সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা শুরু হয়। মিথ্যা সম্পর্ক নষ্ট করে। তাই এই সম্পর্কের মধ্যে কখনোই মিথ্যা বলবেন না।
# রাগ সম্পর্ক ভেঙ্গে দিতে পারে -
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কারোর যদি রাগের অভ্যাস থাকে তাহলে সংসারে শান্তি রাখা অসম্ভব।দুজনের মধ্যে সবসময় ঝগড়া লেগেই থাকবে। দুজনেই মানসিকভাবে অস্থির থাকবে। এমতাবস্থায় ভালো কাজও খারাপ প্রমাণিত হয়। একদিন দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায় । তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
# গোপনীয়তা থাকতে হবে -
বিবাহিত জীবনের সুখের জন্য, দম্পতির মধ্যকার বিষয়গুলি যেন কোনও তৃতীয় ব্যক্তির কাছে না পৌঁছায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যত গোপনীয় বিষয়, সম্পর্ক তত ভালো। তারা সবসময় একে অপরকে সম্মান করবে। কিন্তু কেউ যদি গোপনীয়তা অস্বীকার করে তাহলে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যায়।
# খরচের হিসাব রাখা -
স্বামী-স্ত্রী মিলে সংসার চালায়। এমতাবস্থায়, তাদের উভয়েরই ব্যয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকা প্রয়োজন। আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য সম্পর্কে দুজনেরই জানা থাকলে আগামী সময়ে কোনো সমস্যা হবে না । স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ যদি বেশি ব্যয়ী হয়, তাহলে তা ঝগড়ার কারণ হয়ে থাকে ।
# মর্যাদা রাখা গুরুত্বপূর্ণ -
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মর্যাদা লঙ্ঘন হলে তা ভেঙে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। স্বামী এবং স্ত্রীর তাদের মর্যাদা এবং সংস্কারের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সারাক্ষণ ঝগড়া লেগেই থাকে।
# ধৈর্য থাকতে হবে -
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ধৈর্যের প্রয়োজন। ধৈর্য্যের অভ্যাস না থাকলে জীবনে হতাশা আসে। সংকটের সময়ে, সম্পর্ক নড়বড়ে হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করা এই সম্পর্ককেও দৃঢ় করে তোলে।
No comments:
Post a Comment