প্রেমে মাইলের দূরত্ব যেন হৃদয়ের দূরত্বের কারণ না হয়। চাকরি, ক্যারিয়ারের কারণে আজকাল অনেক দম্পতি একে অপরের থেকে দূরে থাকেন। তবে শহর বা কার্যক্ষেত্রে এক না হলেও তারা তাদের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন। একে বলে লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ।
যখন দু'জন মানুষ আলাদা শহরে, রাজ্যে বা দেশে থাকেন, তারা একে অপরের সাথে দেখা করতে পারেন না, একে অপরের সাথে বেশি সময় কাটান না, এমন পরিস্থিতিতে সঙ্গী ছাড়া একাকীত্ব অনুভব করা সাধারণ হতে পারে। কিন্তু তবুও দম্পতিরা অনেক চেষ্টায় সম্পর্ক বজায় রাখেন। যদি তারা সঙ্গীর সাথে দূরত্বের পরেও সম্পর্ক দৃঢ় রাখতে চান, তবে তাদের কিছু ভুল করা এড়ানো উচিৎ। দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দম্পতির ছোটখাটো ভুল বিষের মতো কাজ করে, যা সম্পর্ককে শেষ করে দিতে পারে। চলুন জেনে নিই দূর সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন ভুলগুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ।
# টাকা লেনদেন এড়িয়ে চলুন -
আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সাথে দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্কের মধ্যে থাকেন এবং এখনও তার সাথে দেখা না করেন বা তাকে খুব ভালোভাবে না চেনেন , তবে তার সাথে অর্থের লেনদেন এড়ানো উচিৎ। অন্যদিকে সঙ্গীকে চিনলেও অতিরিক্ত অর্থ লেনদেন এড়িয়ে চলুন। অনেক সময় অর্থই হয়ে ওঠে সম্পর্কের দূরত্বের কারণ।
# সব সময় কলে থাকবেন না -
দম্পতিরা যখন প্রেমে পড়েন, তারা তাদের সঙ্গীর সম্পর্কে সবকিছু জানতে চান। সারাক্ষণ তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান। অন্যদিকে, তারা যখন লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপে থাকেন, তখন সঙ্গীর সঙ্গে না থাকার কারণে তার সঙ্গে দেখা করতে মরিয়া হয়ে থাকেন। এই অভাব পূরণ করার জন্য তার সাথে ফোন কলে কথা বলতে থাকেন। অনেক সময় সঙ্গী অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকেন, তিনি যদি বলেন যে তিনি ব্যস্ত তখন সঙ্গী রেগে যান।
# সঙ্গীর জন্য সময় দিন -
দম্পতিরা যখন কাছাকাছি থাকেন বা একই শহরে থাকেন, তখন তাদের দেখা করা সহজ হয়। একটি দীর্ঘ দূরত্ব সম্পর্কে দেখা করা সম্ভব নয়। তারা শুধুমাত্র কল বা বার্তার মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কিন্তু একজন যদি কাজে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে সঙ্গীকে ফোন করার সময় নেই, বা তার মেসেজের উত্তর দিতে পারেন না, তাহলে তারা মনে করতে শুরু করেন যে সঙ্গী আর তার অগ্রাধিকার নয় এবং এখন তার সাথে আর কথা বলতে চান না, ভালোবাসেন না। এই নিরাপত্তাহীনতার কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
# স্পেস প্রয়োজন -
সঙ্গীর জন্য সময় দেওয়া যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাকে স্পেস দেওয়াটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীকে বিশ্বাস করুন। অনেক সময় অনেকেই তাদের সঙ্গীর সহকর্মী বা বন্ধুদের সম্পর্কে সন্দেহ করতে শুরু করেন। অনেক ধরণের প্রশ্ন তাদের জিজ্ঞাসা করা শুরু করেন এবং যার কারণে সঙ্গী বিরক্ত হতে পারেন বা সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধতা অনুভব করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment