এমন কিছু জিনিস একজন ব্যক্তির মধ্যে থাকে,যা থেকে সহজেই তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা করা যায়।আসুন দেখে নেই সেই বিষয়গুলি।
আপনার ব্যবহার- না, শুধুমাত্র অফিসের সহকর্মী, বন্ধুদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছেন তা নয়। ব্যবহার সবার সঙ্গে সমান হওয়া উচিৎ,কেননা প্রত্যেকেই মানুষ। আর তাই তাঁদের কাজের নিরিখে আপনি ব্যবহার করবেন এরকমটা যেন না হয়। সবার সঙ্গে সমান ভাবে মিশতে পারলে তবেই আপনি মানুষ হিসেবে সুন্দর।
বাথরুমের ব্যবহার- অনেকেই আছেন, উচ্চশিক্ষিত হয়েও অগছালো থাকতে পছন্দ করেন। নিজের ওই কাজটি সেরে কোমডের ফ্লাশ চালু করতে ভুলে যান এরকম মানুষও কিন্তু আছেন। তাই সব দিকথেকে পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন। বাথরুম ছোট হোক, কিন্তু সেই বাথরুম আপনি কতটা পরিষ্কার রাখছেন তাতেই ফুটে ওঠে আপনার রুচি। খাওয়ার অভ্যাস- আপনি কী খাচ্ছেন এবং কীভাবে খাচ্ছেন তাতেও কিন্তু ফুটে ওঠে আপনার ব্যক্তিত্ব। বোঝা যায় আপনার পছন্দ। সেই সঙ্গে কীভাবে চামচ ধরছেন, হাত দিয়ে কীভাবে ভাত মেখে খাচ্ছেন তাও কিন্তু পরিচয় দেয় আপনার স্বরূপের। সেই সঙ্গে আপনার যদি খাওয়ার ভাগ করে খাওয়ার অভ্যাস থাকে সেখান থেকেও জানা যায় কেমন মানুষ হতে পারেন আপনি। খাবারও যে ভাগ করে নিতে শিখতে হয় এসব কিন্তু ছোটবেলার শিক্ষা।
ফোনের ব্যবহার- ফোন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু অনেকেই আছেন যাঁরা ফোনে ভীষণ ভাবে আসক্ত। বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাঁরা তুলনামূলক কম কথা বলেন, চুপ থাকেন, কথা বলতে লজ্জা পান তাঁদের মধ্যে কিন্তু এই প্রবণতা অনেক বেশি। যেভাবে হ্যান্ডশেক করবেন- কীভাবে অপরিচিত কারোর হাত ধরছেন, হ্যান্ডশেক করছেন তা দেখে কিন্তু একে অপরের প্রতি অন্যরকম একটা মনোভাব তৈরি হয়। কিছু হাত থাকে যে স্পর্শে বোঝা যায় মানুষ হিসেবে তিনি কতটা নরম মনের। তেমনই কোনও কুমতলব থাকলে তাও ধরা পড়ে।
হাতের লেখা- হাতের লেখা থেকে দারুণ ভাবে পড়ে ফেলা যায় মানুষের মন। যাঁর হাতের লেখা যত পরিষ্কার, যত ভালো তিনি কিন্তু তত ক্রিয়েটিভ মানুষ। এছাড়াও যাঁদের হাতের লেখা বড় তাঁরা অনেক বেশি মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন। কিন্তু যাঁদের হাতের লেখা ছোট তাঁরা কিন্তু ইন্ট্রোভাট।
No comments:
Post a Comment