মালদা: স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রেম। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং তাতেও কাজ না হওয়ায় ওই স্কুল ছাত্রীকে বলপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি তাকে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগও উঠেছে ওই যুবক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। আহত ওই ছাত্রীকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি, ওই যুবক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের রতুয়ার কাহালা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এলাকার প্রতিবেশী যুবক অমিত মন্ডল। পেশায় সে ভিন রাজ্যের শ্রমিক। বাড়ির সামনে থেকে নাবালিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে, যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। শুক্রবার সকালে নির্যাতিতাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রতুয়া থানার পুলিশ।
নির্যাতিতার মা জানান, স্থানীয় যুবক অমিত মণ্ডল তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখয়ে বাড়ির সামনে থেকে উঠয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার পথেই রাস্তায় তাঁর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় যুবক। এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শারীরকভাবে নির্যাতন করে বলেও অভিযোগ। বাড়িতে নিয়ে গিয়েও একাধিক বার ধর্ষণ করা হয় তাঁর মেয়েকে। এরপর বেধড়ক মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় মেয়েকে। ঘটনার খবর পেয়ে নির্যাতিতাকে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত যুবক অমিত মণ্ডল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় ধর্ষন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ও তাঁর পরিবার।
No comments:
Post a Comment