উত্তরপ্রদেশের বেরেলিতে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শ্রাবণের প্রথম দিন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পৌরসভার টিম ঘেরাও করতে এখানে পৌঁছালে মাংসের দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এসময় হট্টগোল শুরু হয়। কেউ কেউ মনে করেন, পাড়ায় বসবাসকারী বিজেপি নেতা এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এরপরই বিজেপি নেতার ওপর তলোয়ার নিয়ে হামলা চালায় লোকজন। হামলায় বিজেপি নেতারা আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতার ওপর হামলার খবর পাওয়া মাত্রই হামলাকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হিন্দু সংগঠনগুলো। হিন্দু সংগঠনগুলোও মসজিদের বাইরে অবস্থান নেয়। পুলিশ প্রশাসনের প্ররোচনায় হিন্দু সংগঠনগুলো সেখান থেকে সরে আসে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (আরএএফ)। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি প্রেমনগর থানা এলাকার রাম জানকী মন্দির রোডের। এখানে পৌর কর্পোরেশনের টিম ঘেরাও করতে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে খোলা মাংসের দোকানও বন্ধ ছিল। এরপরই তোলপাড় সৃষ্টি করে কয়েকজন। তথ্য দেওয়ার সন্দেহে বিজেপি নেতা অঙ্কিত ভাটিয়ার ওপর হামলা চালায় কয়েকজন। এতে বিজেপি নেতারা গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজেপি নেতা অঙ্কিত বলেছেন যে পু"রসভার দল যখন দখল সরাতে পৌঁছেছিল, লোকেরা মনে করেছিল যে আমি এটি সম্পর্কে অভিযোগ দিয়েছি। পরে লোকজন তরবারি নিয়ে হামলা চালায়।" এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন অঙ্কিত। একই সময়ে, এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসএসপি সত্যার্থ অনিরুদ্ধ পঙ্কজ বলছেন, পৌর কর্পোরেশনের দল এসেছিলেন দখল সরাতে, তখনই মারামারি হয়েছিল। এরপরই তোলপাড় সৃষ্টি করে কয়েকজন। বর্তমানে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
একই সময়ে, ডিএম শিবকান্ত দ্বিবেদী জানান, সকালে পুরসভার দল একটি দোকান ঘেরাও করে। এমন পরিস্থিতিতে লোকে ভুল বুঝেছে যে বিজেপি নেতা পুরসভার দলকে এই তথ্য দিয়েছেন। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একদিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment