প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তা সিবিআইয়ের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার, প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড, বোর্ডের সভাপতি বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন।
বৃহস্পতিবার, ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইকে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত মামলার অগ্রগতি জানতে চায়। এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও জমা দিতে হবে।
এই দিন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে যে 273 জন চাকরিপ্রার্থীকে 1 নম্বরের বেশি দেওয়া হয়েছে, এটিই মূল বিতর্ক। বিচারকের বক্তব্য, এ যেন নিউটনের আপেল! তিনি বলেন, 'নিউটন একটি আপেল গাছের নিচে বসে ছিলেন। তখন হঠাৎ গাছ থেকে একটা আপেল এসে মাটিতে পড়ে গেল। একইভাবে, 273 জন অতিরিক্ত 1 মার্ক পেয়েছে, তারা কীভাবে এই অতিরিক্ত 1 পয়েন্ট পেল? এই সংখ্যা কোথা থেকে এসেছে? এ প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।
No comments:
Post a Comment