প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার মানিকচকের গোপালপুর এলাকা। রবিবার ভোররাতের এই বিস্ফোরণে দু'জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন, অপর আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গভীর রাত থেকে গোপালপুরের একটি বাগানে বোমা তৈরির কাজ চলছিল। তারপর একটি বিস্ফোরণ হয় এবং দুইজন মারা যায়।
বিস্ফোরণস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, বোমা তৈরির সরঞ্জাম কোথা থেকে এসেছে, কতজন জড়িত ছিল এবং তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনার সময় সেখানে অন্য কেউ ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন ও নাসির আলীর মধ্যে কোন্দল চলছে বলে জানা গেছে। এ কারণে এলাকায় বোমা হামলার ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। অতীতেও এই এলাকায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করা হয়েছিল এবং বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছিল। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গোপালপুরের প্রায় সব গ্রামেই তৃণমূলের কর্মী। এলাকায় বোমা তৈরির কাজ চলছিল। সেই সময়ে হঠাৎ একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে প্রাণ হারান দুজন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সবাই মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় স্থানান্তর করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, এদিনের বিস্ফোরণের জেরে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে সবার দৃষ্টি এড়িয়ে বোমা তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে বাগানে ঢুকলো অপরাধীদের দল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বোমা বিস্ফোরণ না হলে বিষয়টির সুরাহা চুপেচাপেই হয়ে যেত, এমন প্রশ্নও তুলছেন এলাকাবাসী। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
প্রসঙ্গত, বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য রাজ্য জুড়ে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে বোমা ও অস্ত্রের ঘটনা সামনে আসছে।
No comments:
Post a Comment