গৃহবধূকে নির্মমভাবে মারধর ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠল শ্বশুর- শাশুড়ি, মামা ও দেওরের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মহিলার গোপনাঙ্গে রড ও একটি লাঠি ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলায়। আক্রান্ত গৃহবধূ বর্তমানে জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ওই বধূর স্বামী বলেন, 'আমরা প্রেমের বিয়ে করেছি, যা পরিবারের সদস্যরা পছন্দ করেন না। আমার স্ত্রী অন্য জাতের, সে কারণে পরিবারের লোকজন তাকে হয়রানি করে।' তাকে এবং তার স্ত্রীকে পরিবারের সদস্যদের হাত থেকে বাঁচানোর আবেদন করেন ওই স্বামী।
মদনপুর থানা এলাকার বেরুয়ার ঘাটের বাসিন্দা সতীশ কুমার সিং আট বছর আগে দিল্লীতে মনিকা নামে এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের বিয়ে করেছিলেন। সতীশ রাজপুত সম্প্রদায়ের এবং তার স্ত্রী মনিকা চৌহান বিরাদরির অন্তর্গত। দিল্লীতে অনলাইনে সবজি বিক্রির ব্যবসা করতেন সতীশ। সেখানেই মনিকার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। এই সম্পর্ক সতীশের পরিবারের সদস্যরা মেনে নেয়নি এবং পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গিয়ে সতীশ প্রেমের বিয়ে করেন। এরই মধ্যে সতীশের ভাইও চলে আসেন দিল্লীতে।
অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি সতীশের স্ত্রীর সাথে অন্যায় করেছিলেন, যার জের ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ ছিল। বিবাদের জেরে সতীশের ব্যবসা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় এবং সতীশ তার স্ত্রী মনিকাকে নিয়ে গ্রামে চলে আসেন। গ্রামে মনিকাকে তার পরিবারের সদস্যরা উত্ত্যক্ত করত, বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকজন মনিকাকে ছেড়ে সতীশকে আবার বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল, কিন্তু সতীশ তা মানতে রাজি ছিল না। সতীশের ছয় বছরের একটি মেয়েও রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, ১৯ জুলাই রাতে সতীশ ও মনিকার ওপর পরিবারের সদস্যরা চড়াও হয়। তারা মনিকাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। তার গোপনাঙ্গে রড ও লাঠি ঢুকিয়ে দেয়। কোনওরকমে পরিবারের সদস্যদের খপ্পর থেকে বেরিয়ে সতীশ থানায় পৌঁছে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ আহত মনিকাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
সতীশের অভিযোগ, তাঁর কাকা কিষাণ মোর্চার মণ্ডল সভাপতি, যার কারণে অভিযুক্তদের গ্ৰেফতার করা হচ্ছে না।
অন্যদিকে তার স্ত্রী বলেছেন, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। শ্যালক তার গোপনাঙ্গে একটি লাঠি ও রড ঢুকিয়ে দেয়। এছাড়াও ছাইও দিয়ে দেয়, কিন্তু ছাই ঠান্ডা ছিল। তাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করা হয়।
অন্যদিকে, এসপি সংকল্প শর্মা বলেছেন যে, মদনপুর থানা এলাকার নির্যাতিতা তার নিজের শাশুড়ি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
No comments:
Post a Comment