বর্ষায় প্রাণীদের সুরক্ষা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা নিজের মধ্যেই একটি বড় দায়িত্ব। বিশেষ করে বর্ষার দিনে হাঁস-মুরগি পালন করতে গিয়ে রোগ-বালাই ও সংক্রমণের কারণে অনেক ক্ষতি হয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সঠিক পরিচর্যা করলে পোল্ট্রি খাত থেকে ভালো মুনাফা অর্জন করা যায়, তাই মুরগির সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য ও জীবনযাত্রার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। বৃষ্টির আগে যদি পোল্ট্রি খামারে কিছু ব্যবস্থাপনার কাজ করা হয়, তাহলে যত্ন নেওয়া খুব সহজ। এর মধ্যে রয়েছে পোল্ট্রি ফার্ম মেরামত, মুরগির তাজা খাবারের ব্যবস্থা, মেঝে মেরামত, বিছানা ও প্লাস্টিকের পর্দার ব্যবস্থা করা এবং ওষুধ ছিটানো।
ছত্রাক থেকে মুরগির খাদ্য রক্ষা করুন
বর্ষাকালে আদ্রতা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়, যার কারণে পশুখাদ্য ও শস্যে ছত্রাক ও পোকামাকড় জন্মাতে থাকে। এই সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করতে, মনে রাখবেন যে খাবারে আর্দ্রতার পরিমাণ 10% এর বেশি বাড়বে না, কারণ এটি খাবারের পচনের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
এই সমস্যাটি বিশেষ করে চিনাবাদামের পিঠাতে বেশি হয়, এটি মোকাবেলা করার জন্য খুব বেশি পুরানো পশুখাদ্য ব্যবহার করবেন না এবং পশুখাদ্যকে নিরাপদ স্থানে রাখুন।
মুরগির খাদ্য ও দানা সরাসরি মাটিতে রাখবেন না। খাবারের জন্য আলাদা আলমারি তৈরি করতে হবে বা মাটিতে কাঠের ফিতে বিছিয়ে বস্তা রাখতে হবে।
বাসি বা পুরানো খাবার মুরগিকে খাওয়াবেন না, তবে নতুন খাবার কিনে 10-15 দিনের মধ্যে দিতে হবে।
ভেজা ও নোংরা বিছানা মুরগির কক্সিডিওসিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ কারণে ছানা বিকাশে সমস্যা ও মুরগির মৃত্যুর হারও বাড়ছে।
এই সংকট প্রতিরোধের জন্য, একটি ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে বিছানায় চুন বা 2-3 ইঞ্চি শুকনো বালি ছিটিয়ে দিন।
যদি বিছানা ভিজে এবং শক্ত হয়ে যায় তবে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে।
মনে রাখতে হবে ঘেরে মুরগির বিচরণ করার জন্য জায়গার অভাব না হয়, এজন্য একটি মুরগির ওপর অন্তত আধা বর্গফুট জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে।
No comments:
Post a Comment