মাছ চাষ কর্মসংস্থানের একটি ভাল বিকল্প হিসাবে গড়ে উঠছে। তরুণরা এ ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি এ এলাকায় নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হচ্ছে যাতে মাছের উৎপাদন বাড়ানো যায়। মৎস্য চাষকে উৎসাহিত করতে এবং মৎস্য চাষীদের উৎসাহিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিও বিভিন্ন পরিকল্পনা চালাচ্ছে। মৎস্য চাষীরা এই প্রকল্পগুলি থেকে উপকৃত হচ্ছেন। এটি সম্পর্কিত তথ্য মাছ চাষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মৎস্য চাষিদের মাছ চাষ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকতে হবে যাতে তারা ভালো ফলন করতে পারে এবং তারা বেশি লাভ করতে পারে।
পুকুরের গুণমান বজায় রাখতে সময়ে সময়ে জল পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তবে একই সঙ্গে সময়ে সময়ে পুকুরে জাল ফেলতে হবে। কারণ প্রায়শই এমন হয় যে অনেক কৃষকই এতে মনোযোগ দেন না, যার কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। পুকুরের গুণাগুণ বজায় রাখার জন্য সময়ে সময়ে পুকুরে নেট চালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কৃষকদের তা অনুসরণ করা উচিৎ।
মাছ পরীক্ষা করার জন্য, সময়ে সময়ে একটি নিক্ষেপ জাল চালানো হয়। এছাড়া পুরো পুকুরে দুই ধরনের জাল চালানোর ব্যবস্থা রয়েছে। নাইলন জাল আছে, যা মশারির মতো। যাকে চ্যাট নেটও বলা হয়। এর সাথে সমস্যা হল এর ছিদ্র ছোট। এটি চালানোর জন্য আরও বেশি পরিশ্রম লাগে এবং আরও লোকের প্রয়োজন হয়। দ্বিতীয়টি একটি ড্র্যাগ নেট বা ওয়ার্প নেট। এর মধ্যে গর্ত বড়। তাই এটি পরিচালনা করা সহজ। এটি একটি পুকুর আকৃতির নেট চালাতে পারে।
এ জন্য জাল চালানোর আগে নেটকে লবণ বা পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের দ্রবণে ডুবিয়ে রাখতে হবে। যাতে সমস্ত সংক্রমণ শেষ হয়। কৃষক ভাইদের সবসময় এ দিকে নজর দিতে হবে।
জাল চালানোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি পুকুরের ভিতর মাছ ছুটে যায়, যার ফলে তাদের হজম ঠিক থাকে, স্বাস্থ্য ঠিক থাকে, যার ফলে তাদের বিকাশ ভাল হয়। দ্বিতীয় সুবিধা হলো, জাল চালালে পুকুরে মাছের বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি যে প্রজাতির মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে তা পুকুরে আছে কি না তাও জানা গেছে। সেই সঙ্গে মাছে কোনও সংক্রমণ নেই বলেও জানা যায়। একই সঙ্গে পুকুর পরিষ্কার হয়, পুকুর থেকে পরজীবী ধ্বংস হয়। তাই মাসে অন্তত দুবার নেট চালাতে হবে।
No comments:
Post a Comment