মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডি-র সামনে একটি বড় কথা স্বীকার করেছেন। অর্পিতা স্বীকার করেছেন যে, তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ২১ কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে অর্পিতা বলেন যে, দু-এক দিনের মধ্যে এই টাকা জায়গা মত সরানোর কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই এই অভিযান সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল করে দেয়। ইডি জানিয়েছে যে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সেই ১২টি জাল সংস্থায় বিনিয়োগ করার কথা ছিল যেগুলোর কাগজপত্র অর্পিতার বাড়ি থেকে অভিযানের সময় পাওয়া গিয়েছিল।
একই সঙ্গে ইডি জানিয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশির সময় যৌথ সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিও পাওয়া গিয়েছে। এই যৌথ সম্পত্তির মালিক হলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এই সম্পত্তিটি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০১২ সালে কিনেছিলেন।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে ইডি। অর্পিতার বিরুদ্ধে ১২টি ভুয়া কোম্পানি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ইডি বলছে, এই জাল কোম্পানির মাধ্যমে অর্থের কারসাজি করা হয়েছে। জোকায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশির সময় ইডি অনেক নথি পেয়েছে। এসব নথিপত্রে জাল কোম্পানি চালানোর কথা জানা গেছে। ইডি আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন যে, ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুর বিভিন্ন প্রোডাকশন হাউসে কাজ করা সুপরিচিত ব্যক্তিরাও এতে জড়িত থাকতে পারে।
ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, 'বাড়ি থেকে যে নথিগুলি আমরা পেয়েছি তাতে অনুমান করা হচ্ছে যে, তিনি এই জাল সংস্থাগুলির মাধ্যমে অর্থের কারসাজি করতেন। আমাদের কাছে এরকম ১২টি কোম্পানির নথি রয়েছে।' ইডি আধিকারিকরা বলেছেন যে, 'আমরা ওডিশা এবং তামিলনাড়ুর কিছু লোকের যোগসাজশও পেয়েছি। এসব মানুষের মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান হয়েছে। আমরা এসব লোকের ওপর নজর রাখছি। এগুলোও শিগগিরই তদন্তের আওতায় আনা হবে।'
No comments:
Post a Comment