সূর্যমুখী তেল ফসল। সূর্যমুখী সারা বছরই চাষ করা যায়। তবে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
জমি প্রস্তুত
সূর্যমুখী জমিতে গভীর চাষ করতে হয়। লাঙল দিয়ে 4-5 বার ক্ষেত চাষ করতে হবে।
বপন পদ্ধতি
সূর্যমুখী বীজ সারিতে বপন করা হয়। এক সারি থেকে অন্য সারির দূরত্ব 50 সেমি। সারিতে এক গাছ থেকে আরেক গাছের দূরত্ব 25 সেমি রাখতে হবে। এভাবে বীজ বপনের জন্য হেক্টর প্রতি 8-10 কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।
সার প্রয়োগ
ইউরিয়া সারের অর্ধেক এবং অন্য সব সার মাটিতে ছিটিয়ে চাষের সময় মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। অবশিষ্ট অর্ধেক ইউরিয়া দুই ভাগে প্রয়োগ করতে হবে, প্রথম ভাগ অঙ্কুরোদগমের 20-25 দিন পরে এবং দ্বিতীয় ভাগ ফুল ফোটার 40-45 দিন পরে বা ফুল আসার আগে দিতে হবে।
রোগ-প্রতিকার
সূর্যমুখীর অ্যাসিটেট একটি শিকড় পচা রোগ। সাধারণত Sclerosium ralfusii নামক ছত্রাকের কারণে এই রোগ হয়। Akaran- গাছের গোড়ায় সাদা তুলোর মতো ছত্রাকের মাইসেলিয়াম এবং গোলাকার দানার মতো স্ক্লেরোসিয়াম পাওয়া যায়। কিছু দিনের মধ্যে সব গাছ শুকিয়ে যায়।
সূর্যমুখীর গোড়া পচা রোগের প্রতিকার হিসেবে ভিটাভেক্স-200 এর সাহায্যে ক্ষেত পরিষ্কার করে এই রোগের বিস্তার রোধ করা যায়। এই ছত্রাক সাধারণত মাটি ভেজা থাকলে বাঁচতে পারে না। এভাবে রোগ শুরু হওয়ার পর জমিতে বন্যা সেচ দিয়ে প্রকোপ কমানো যায়। ফসলের পর্যায়ক্রমিক চাষ উপযুক্ত পুষ্টির অভাবে অতীতের আক্রমণাত্মক রোগের বিস্তার রোধ করতে পারে।
No comments:
Post a Comment