মালদা: হাসপাতাল আছে, কিন্তু নেই চিকিৎসক। রোগী দেখছেন ঐ হাসপাতালেরই এক স্বাস্থ্যকর্মী। এমনই ছবি ধরা পড়ল বামনগোলা ব্লকে জগদ্দলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিমপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই কোনও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা, নেই কোনও চিকিৎসক। প্রায় এক বছর চিকিৎসা বন্ধ বলে অভিযোগ। বন্ধ বলা ভুল, বর্তমানে গ্রুপ ডি কর্মী এখন ডাক্তার বাবু হয়ে বসেছেন। তিনিই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসীরা জানান, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছেন তিন জন গ্রুপ ডি কর্মী, তাদের মধ্যে একজন হোমিওপ্যাথি বিভাগের দ্বায়িত্বে রয়েছেন। অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে অ্যালাপথি বিভাগ বন্ধ। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চললেও ডাক্তারবাবু নেই, তার পরিবর্তে সম্পূর্ণ হোমোপ্যাথিক চিকিৎসা চালাচ্ছেন গ্রুপ ডি কর্মী। রীতিমতো ডাক্তারি মতে ওষুধ দিচ্ছেন কর্মী রঞ্জিত দাস।
তিনি বলেন, 'ডাক্তার বাবু ছুটিতে রয়েছেন, তিনি বলে গেছেন আমি যেন রোগী দেখি।' কিন্তু গ্রুপ ডির কর্মী কী করে চিকিৎসকের চেয়ারে বসে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর দাবী, ব্লক প্রশাসন বি এমএইচ, সিএমএইচ-কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কোন জরুরি চিকিৎসার জন্য ছুটে যেতে হয় বেশ কিছু মাইল দূরে মদিপুকুর হসপিটালে, নয় তো মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ফলত, চরম সমস্যার মুখোমুখি এলাকার আমজনতা।
No comments:
Post a Comment