চলতি বছর গরমটা যেন একটু বেশিই পড়ছে। আমাদের দেশের পাশাপাশি লন্ডন থেকে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত ব্যাপক গরম পড়ছে এবং সেখানে হাইড্রেটেড থাকার জন্য মানুষকে প্রচুর জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই কথা প্রযোজ্য। আমাদের শরীরের ওজনের প্রায় ৬০% জল, তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে সঠিক পরিমাণে জল পান করা প্রয়োজন। এই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারবেন সারাদিনে আমাদের কতটুকু জল পান করা উচিৎ এবং এও জানতে পারবেন, আমাদের শরীরে জলের অভাব হচ্ছে কিনা?
কত জল প্রয়োজন
মহিলাদের প্রতিদিন ২.৫ থেকে ৩ লিটার এবং পুরুষদের কমপক্ষে ৩ থেকে ৩.৮ লিটার জল প্রয়োজন। যদিও এই জলের ২০% জল-ভিত্তিক খাবার থেকে পাওয়া যায়, তারপরে প্রায় ৬-৮ গ্লাস জল সারা দিনে আরও পান করা উচিৎ।
কীভাবে বুঝবেন জল কম পান করেন নাকি স্বাভাবিক?
১- এর সহজ পরীক্ষা হল প্রস্রাবের রঙ, আপনার প্রস্রাব যদি স্বচ্ছ বা হালকা হলুদ হয়, তাহলে আপনার শরীর হাইড্রেটেড, কিন্তু টয়লেটের রঙ যদি হলুদ বা সামান্য গাঢ় হয়, তাহলে বুঝবেন শরীরে জলের অভাব রয়েছে।
২- আপনার মুখ যদি শুষ্ক হয়ে যায়, আপনি অতিরিক্ত তৃষ্ণা অনুভব করেন, পেশীতে ক্র্যাম্পিং থাকে বা যদি মাথাব্যথা হতেই থাকে, তবে এটিও ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ।
কীভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করবেন?
১- সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে ২ গ্লাস কুসুম গরম জল পান অনেক রোগ থেকে বাঁচাতে পারে। এটি আপনার পেট পরিষ্কার রাখে এবং সকালেই শরীর হাইড্রেটেড হয়ে যায়।
২- আজকাল স্মার্ট ঘড়ি এবং ফোনে জলের রিমাইন্ডার সেট করার একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আপনাকে সময়ে সময়ে জল পান করার কথা মনে করিয়ে দেবে। সাধারণ ফোনেও আপনি ৪-৫টি রিমাইন্ডার সেট করে রাখতে পারেন।
৩- গ্লাসের পরিবর্তে বোতল থেকে জল পান করুন এবং কাজের জায়গায় একটি জল ভর্তি বোতল রাখুন। সামনে এই ভরা বোতল দেখলে, জল পান করার কথাও মনে থাকবে।
৪- খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা ৩০ মিনিট পরে এক বড় গ্লাস জল পান করার অভ্যাস করুন। আপনি যদি দিনে কমপক্ষে ৪ বার মিল নেন, তবে ৪ বড় গ্লাস জল স্বয়ংক্রিয়ভাবে শরীরে চলে যাবে।
No comments:
Post a Comment