গর্ভাবস্থায় খান এই ৫ খাবার, ডায়াবেটিস কাছেও ঘেঁষবে না - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 23 July 2022

গর্ভাবস্থায় খান এই ৫ খাবার, ডায়াবেটিস কাছেও ঘেঁষবে না


গর্ভাবস্থায় বেশি ক্ষিদে পাওয়া খুব স্বাভাবিক। আর এই ক্ষিদে মেটাতে প্রচুর পরিমাণে খাবার খাওয়া হয়ে যায়। এমনকি এই সময় পছন্দের খাবার খেতে গিয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতেও সক্ষম হন না হবু মায়েরা। ফলত, অনেক সময় এই কারণই মহিলাদের ডায়াবেটিসের সমস্যার দিকে নিয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় যে ডায়াবেটিস হয় তাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলে। এতে গর্ভবতী মহিলার রক্তে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। যদিও প্রসবের পর ডায়াবেটিসের সমস্যা শেষ হয়ে যায়, কিন্তু গর্ভাবস্থায় এটি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। ডায়াবেটিস থাকলে শিশুর বিকাশ এবং প্রি-ম্যাচিওর বেবি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আসুন জেনে নেই কিভাবে আপনি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এড়াতে পারেন?


১- প্রচুর সালাদ খান- খাবারে প্রচুর সালাদ খাওয়া উচিৎ। সালাদ খেলে গ্লুকোজের মাত্রা কম থাকে। সালাদ খাওয়া একজন ডায়াবেটিস রোগীকে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সালাদ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম রাখে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।


২- ডিম- গর্ভাবস্থায় ডিম খান। ডিম খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডিমে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা অনেক সুবিধা দেয়। ডায়াবেটিস এড়াতে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন।


৩- বাদাম- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাদাম খেতে পারেন। প্রতিদিন ভিজিয়ে রাখা বাদাম খাওয়া শিশুর মানসিক বিকাশেও সাহায্য করে। অসময়ে বা জলখাবারের সময় খুব বেশি ক্ষিদে পেলে বাদাম খেতে পারেন। এতে পেটও ভরবে এবং আপনার খাবারের লোভও প্রশমিত হবে।


৪- বীজ- গর্ভাবস্থায়ও বীজ খাওয়া উচিৎ। বীজ খেলে শরীরে ফাইবার পাওয়া যায়, যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি হজমের সমস্যাও দূরে রাখে। চিয়া বীজ খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এটি ক্ষিদেও শান্ত করে এবং শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও পাওয়া যায়।


৫- দই- গর্ভাবস্থায় দই খান। দইয়ে রয়েছে এমন প্রো-বায়োটিক, যা অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। দই খেলে ডায়াবেটিস অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দই হজমের উন্নতি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে।





বি.দ্র: গর্ভাবস্থায় খাবার সংক্রান্ত কোনও রুটিন পরিবর্তন করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad