করোনার মধ্যেই এখন সোয়াইন ফ্লু উদ্বেগ বাড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের। শূকরগুলিতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের প্রাদুর্ভাব, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে রাজ্য সরকার সবাই চিন্তিত। বর্তমানে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নগরীতে এর মাংস ও সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজেস, আনন্দ নগর, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের কারণে ১০৪ টি শূকরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর পরেই ডিএম সূর্যপাল গাঙ্গওয়ার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
ডিএম লখনউ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (এলএমসি) এবং পশুপালন বিভাগকে শূকরগুলিতে রোগের বিস্তার রোধে সম্ভাব্য সমস্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আধিকারিকদের দুর্গত এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, জীবাণুমুক্তকরণ এবং স্যানিটাইজেশন করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও, ডিএম লখনউ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে একটি সচেতনতা প্রচার শুরু করতে বলেছে, যাতে আরও বেশি লোক আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার সম্পর্কে সচেতন হতে পারে।
শূকরের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আধিকারিকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খামারীদের ঘেরা দিয়ে শূকর পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পশুপালন বিভাগ এবং লখনউ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের দলগুলি শূকর মালিকদের সাথে যোগাযোগ করবে এবং যেখানে শূকর রাখা হয়েছে, সেগুলি জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে।
আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু একটি অত্যন্ত সংক্রামক পশু রোগ, যা গৃহপালিত এবং বন্য শূকরকে সংক্রামিত করে। এতে আক্রান্ত শূকররা উচ্চ রক্তক্ষরণজনিত জ্বরে ভোগে। এই ফ্লু ১৯২০ সালে আফ্রিকাতে প্রথম পাওয়া যায়। এতে মৃত্যুর হার প্রায় ১০০%। উদ্বেগের বিষয় হল এর কোনও প্রতিষেধক এখনও পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে পশু হত্যাই একমাত্র বিকল্প। যদি কেউ ভুলবশত এই সংক্রমণের কবলে আসা শূকরের মাংস খেয়ে ফেলে, তবে সেও এর শিকারে পরিণত হয়।
No comments:
Post a Comment