সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জামশেদ পারদিওয়ালা বলেন, এটা জরুরি নয় যে, আদালতের সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত অনুযায়ীই হবে। বিচারপতি পারদিওয়ালা স্পর্শকাতর বিষয়ে সামাজিক ও ডিজিটাল মিডিয়ার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। উল্লেখ্য, বিজেপি থেকে বরখাস্ত নেত্রী নূপুর শর্মাকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য নিয়ে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা চলছে। বিচারপতি পারদিওয়ালা বেঞ্চের সদস্য ছিলেন, এই বিষয়ে শুনানি করেন।
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এইচ আর খান্নার স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, 'গণতন্ত্রে আমরা নির্বাচন করেছি যে, আমরা আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে চলব। একটি মামলার শুনানি করার সময়, বিচারকরা এটি সম্পর্কে সমাজের মতামত কখনও কখনও জানেন, আবার, কখনও জানেন না। কিন্তু তারা এর দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে না। তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন।'
উদাহরণ দিয়ে বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, 'দেশে স্বাধীনতার পর জুরি প্রথা বিলুপ্ত হয়। এর কারণ ছিল এটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিষয় বলে বিবেচিত হয়েছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতই যে ন্যায়বিচার হবে, এমন নয়।' সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন পারদিওয়ালা, সমকামিতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের উদাহরণও দিয়েছেন। তিনি বলেন, সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি পারদিওয়ালা সামাজিক ও ডিজিটাল মিডিয়ার অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এর বিচার ব্যবস্থায়ও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। বিচারক বলেন, 'বর্তমান সময়ে সামাজিক ও ডিজিটাল মিডিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম। অনেক সময় এগুলোর মাধ্যমে স্পর্শকাতর বিষয়ে আদালত সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরির চেষ্টা করা হয়। সরকার ও সংসদের উচিৎ বিষয়টি বিবেচনা করে একটি উপযুক্ত আইন করা।'
No comments:
Post a Comment