স্ত্রীকে খুন করে কড়াইতে ফুটন্ত জলে সেদ্ধ করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী তাদের সন্তানরা। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে এই হাড়হিম ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, অভিযুক্ত নয় মাস ধরে বন্ধ স্কুলের রান্নাঘরে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সে এই বিদ্যালয়ে প্রহরীর কাজ করত। কড়াইতে মহিলার একটি পা শরীর থেকে ছিন্ন হয়ে যায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
বুধবার নগরীর গুলশান-ই-ইকবাল এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের রান্নাঘরের কড়াইতে নার্গিসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জিও নিউজ অনুসারে, ডিএসপি আবদুর রহিম শেরাজি জানিয়েছেন যে, মহিলার স্বামী আশিক, স্কুলে প্রহরীর কাজ করত এবং প্রায় আট থেকে নয় মাস বন্ধ থাকা স্কুলের সার্ভেন্ট কোয়ার্টারে থাকত।
পুলিশ জানিয়েছে, মর্মান্তিক ঘটনার পর আশিক, তাদের তিন সন্তানের সাথে পালিয়ে গেলে মৃতার ১৫ বছরের মেয়ে তাদের ফোন করে। শেরাজি বলেন, এই ঘটনায় তিনি মর্মাহত ও আহত। বাকি তিন শিশুর হেফাজত পুলিশের কাছে রয়েছে।
আধিকারিক বলেছেন যে, প্রাথমিক তদন্ত এবং শিশুদের বিবৃতিতে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত তার স্ত্রীকে তাদের সামনে একটি কড়াইতে সিদ্ধ করার আগে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল। কড়াইতে থাকা ওই মহিলার একটি পা শরীর থেকে ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনার পেছনের কারণ এখনও জানা যায়নি। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশিক তার স্ত্রীকে অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করে এবং তিনি অস্বীকার করলে তাকে খুন করে।
No comments:
Post a Comment