ফিটনেস এবং হেলথ টিপস অনুসরণকারী প্রত্যেক ব্যক্তির বাড়িতে অবশ্যই একটি ফার্স্ট এইড বক্স থাকে। আর এতে থার্মোমিটারও রাখা হয়। সচেতন ব্যক্তিরা যখনই শারীরিক অস্বস্তি অনুভব করেন, প্রথমে থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেন এবং তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেন। কিন্তু এখন ডিজিটাল থার্মোমিটার বা ইলেকট্রনিক থার্মোমিটার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে। হঠাৎ পারদ থার্মোমিটার যেন সকলের বাড়ি থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে। তবে কেন এমনটা হল? দেখে নেওয়া যাক একনজরে-
আসলে, অনেক দেশে পারদ থার্মোমিটার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া যায় বলে এগুলোকে ফিভার থার্মোমিটারও বলা হচ্ছে। গ্লাস থার্মোমিটারে থাকা তরল পারদ জ্বরের সঠিক স্তর জানাতে সক্ষম, তবে থার্মোমিটারটি ভেঙে যাওয়ার সাথে সাথে পারদ বিষাক্ত বাষ্প হিসাবে ঘরের তাপমাত্রায় দ্রবীভূত হয়ে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে এটি রক্ত, ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে পৌঁছে গুরুতর অসুস্থ করে তোলে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা টক্সিক্স লিংকস-এর এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিদেশের মানুষ পারদের কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকে। যদি কোনও হাসপাতাল বা বাড়িতে পারদ থার্মোমিটার ভেঙ্গে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই ঘরটি দুই-তিন দিনের জন্য সিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এ বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
যদিও ভারতের বেশিরভাগ মানুষ পারদের কারণে হওয়া ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন না, কিন্তু ঝামেলার কারণে, অনেকেই এটিকে নিজেদের থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা পারদ থার্মোমিটারের চেয়ে অনেক সহজ। এই কারণেই ধীরে ধীরে পারদ থার্মোমিটারগুলি বাড়ি থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে। তবে দুর্ঘটনা রোধে জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment