শ্রাবণ মাসে আপনিও কি চিকেন বাটার মসলা মিস করছেন? কারণ এই মাসে তো অনেকেরই বাড়িতে শুধু নিরামিষ খাবার খাওয়া হয়। এমতাবস্থায়, যারা আমিষের জন্য পাগল, তারা সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু তাদের এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে এমন এক ধরণের মাংস এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, যা ক্ষেত থেকে পাওয়া যায়। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, নিরামিষ মাংস। এই মাংস প্লান্ট বেসড মিট নামে পরিচিত।
আনুশকা শর্মা-বিরাট কোহলি হোক বা রীতেশ দেশমুখ-জেনেলিয়া ডি'সুজা জুটি, আজকাল অনেক সেলিব্রিটি প্লান্ট বেসড মিটের জোরালোভাবে প্রচার করছেন। এই মাংসগুলি স্পর্শ, খাওয়া এবং এমনকি স্বাদেও আসল মাংসের মতো। পার্থক্য হল এই যে, এগুলো ক্ষেতে উৎপন্ন হয়, গাছপালা থেকে পাওয়া যায়। এগুলি সয়া, সবুজ ছোলা, কাঁঠাল, গম, ডাল, মটরশুটি, বাদাম, বীজ, নারকেল তেল, ভেজেটেবিল প্রোটিন এক্সট্র্যাক্ট ইত্যাদির ফ্যাক্টরিতে প্রসেসিংয়ের সাহায্যে প্রস্তুত করা হয়।
সম্প্রতি, এই প্লান্ট বেসড মিটের বাজার দ্রুত বাড়ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এর বাজার ৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
প্লান্ট বেসড মিটের উপকারিতা-
পশুর মাংস হজম করা কঠিন। আর এই নিরামিষ মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ক্যালরিও কম থাকে, যা সহজেই হজমে সহায়ক।
এগুলোতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার। এটি স্থূলতা, ক্যান্সার, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প।
এসব নকল মাংসে প্রোটিনের নির্যাস ব্যবহার করা হয়। অতএব, এগুলো প্রোটিনের ভালো উৎস।
এটি এমন লোকদের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প যারা প্রাণীকে ভালবাসেন, খাদ্য খুব সচেতনতার সাথে খাওয়া পছন্দ করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নকল মাংসে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি।
তবে ঐ, কথায় বলে, বেশি কোনও কিছুই ভালো নয়। এক্ষেত্রেও তাই। এগুলো প্রক্রিয়াকরণের সাহায্যে তৈরি করা হয়, অতএব, এগুলি কেবল মাঝে মাঝে খাওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment