শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে। এদিকে বিজেপি নেতারা দাবী করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই অপরাধে সম্পূর্ণভাবে জড়িত। তাঁদের এও অভিযোগ, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেলেঙ্কারির মূল অপরাধী।"
বিজেপি বাংলার সহ-সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেছেন যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে থাকতেন, এসএসসি কেলেঙ্কারি হয়েছে শুধুমাত্র মমতার আশীর্বাদে এবং তিনি এখন নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তিনি ও তাঁর ভাইপো অভিষেক এখন একসাথে মিলে অনেক নাটক করবে এবং আমাদের তা দেখতে হবে।"
তিনি বলেন, 'ইডি শুধু নগদ টাকা খুঁজছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা কেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে না? মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে টাকা পাঠানো হয়েছে এবং তারও তদন্ত হওয়া উচিৎ, এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র।'
অন্যদিকে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা বলেছেন যে, "এটা সম্ভব নয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন বড় নেত্রী জানেন না, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে টাকা কোথা থেকে আসছে। তিনি একজন স্বৈরাচারী নেত্রী এবং তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ পার্টিতে নিঃশ্বাসও নিতে পারে না। হাইকমান্ডের অনুমতি ছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিছু করতে পারেন না।" অনুপম হাজরা আরও বলেন, 'ভবিষ্যতে এটাও জানা যাবে কার সম্মতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই টাকা জমা করছিলেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তৃণমূল তাঁকে তার পদ এবং বিভাগ থেকে অপসারণ করার পরে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সময়ই বলে দেবে তার সঙ্গে সঠিক না ভুল হচ্ছে। স্কুল নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। শুক্রবার তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের বাইরে তিনি বলেছিলেন যে তাকে "ষড়যন্ত্রের শিকার" করা হচ্ছে।
এর আগে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলেন যে, "যদি কেউ কিছু ভুল করে তবে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে রেহাই দেবে না এবং দুর্নীতি সহ্য করবে না" তিনি বলেছিলেন যে, তদন্ত অব্যাহত না হওয়া পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাসপেন্ড থাকবেন।" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চারবার ফোন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলেছেন যে ইডি তদন্তে আপাতদৃষ্টিতে ভারী অভিযোগের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল নিজেকে রক্ষা করতে ছেঁটে ফেলেছে।
No comments:
Post a Comment