অর্পিতার টাকার মধ্যে শেখ মুজিবের ছবি, বাংলাদেশ যোগের অভিযোগ বিজেপির - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 23 July 2022

অর্পিতার টাকার মধ্যে শেখ মুজিবের ছবি, বাংলাদেশ যোগের অভিযোগ বিজেপির


র্যাডারে ছিল না অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, তবুও ইডি অফিসাররা তার বাড়িতে তল্লাশি করে এবং ২১ কোটির বেশি টাকা ও বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলল। কি ভাবে সম্ভব? তৃণমূলের অন্দরে এই প্রশ্ন সবার মুখে মুখে। 

ষাটোর্ধ প্রাক্তন মন্ত্রীর দুই বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জি এবং মোনালিসা দাসের সাথে সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসতেই লজ্জায় পড়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অর্পিতা মুখার্জির ফ্লাটের কোটি কোটি টাকার যে ছবি ইডি ট্যুইটারে পোষ্ট করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে টাকার মধ্যে থাকা একটি ব্যাগে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি লাগানো। 


ইডি সূত্রের খবর, টাকার সাথে থাকা সমস্ত ব্যাগ ধরে তদন্ত করা হবে। খোঁজা হবে যোগ সূত্র। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার এবং ২১কোটির বেশি টাকা উদ্ধারে রয়েছে বাংলাদেশের যোগ। শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছাপানো ব্যাগ প্রকাশ্যে দেখা গেলেও রয়েছে গভীর যোগ। আর সেটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আরেক বান্ধবী মোনালিসা দাসকে ঘিরে। 


ফেসবুকে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায় গভীর জলের মাছ। শুধু ঘনিষ্ঠ মহিলার বাড়িতে কোটি কোটি টাকা গচ্ছিত রাখাই নয়, শান্তিকেতনে আরও এক ঘনিষ্ঠ মহিলার নামে একাধিক ফ্ল্যাট-সহ বিপুল সম্পত্তি। ' এরপর সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা মোনালিসা আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা। ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর একইসঙ্গে মোনালিসার বাংলাদেশি যোগও রয়েছে বলে দাবী দিলীপ ঘোষের। তবে এই দাবী কার্যত অস্বীকার করেছেন মোনালিসা। তিনি বলেন, ' যা বলা হচ্ছে তা অমূলক। আমি আমার পেশার প্রতি সৎ।'


সূত্রের খবর, মোনালিসা দাস চাকরি পান পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রী থাকা সময়ে। মোনালিসার সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে রয়েছে ভালো যোগাযোগ। 


শুধু তাই নয়, শান্তিনিকেতনে ২০১৩ সাল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিয়মিত আনাগোনা ছিল ।  অসংখ্য আবাসন প্রকল্পের আসল মালিক তার ঘনিষ্ঠ মহিলারা। জামবুনীর মৃনালিনী আবাসন বা প্রান্তিক ফুলডাঙা এলাকায় এমন প্রায় ৯ টি বিলাসবহুল বাংলো বাড়ির সন্ধান মিলেছে যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে একাধিক বান্ধবী নিয়ে নতুবা তৃণমূলের কিছু মন্ত্রী নেতা তাদের বান্ধবী নিয়ে রাত কাটাতে আসতেন। 


ঘটনাচক্রে ২০১১ সাল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে রাজ্য পুলিশের যে কনষ্টেবল কাজ করতেন সেই লেবু আবার রামপুরহাটের মানুষ। ফলে বীরভূমকে কেন্দ্র করে বিরাট চেন গড়েছিলেন নেতা মন্ত্রীরা। তবে একা মোনালিসা দাস নয়, নেতা মন্ত্রীরা অধ্যাপনা বা শিক্ষকতার চাকরীর যে চেইন তৈরী করেছিলেন, তার ফাঁদে পা দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর বহু ছাত্রী। সেক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা নন, আরও একাধিক মন্ত্রীর নাম সামনে চলে আসছে।


অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁদে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকারি করেননি অর্পিতা মুখার্জি। অর্পিতার মা মিনতি মুখার্জী বলেন, সরকারী চাকরি করতে করতেই মারা যান অর্পিতার বাবা। সেই চাকরিটা পেয়েছিল অর্পিতা। চাকরিটা করল না। অনেকদিন রিজার্ভড ছিল। আমি অনেক করে বলেছিলাম চাকরিটা কর, করল না কিছুতেই।”


তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, মেয়ে কি তাহলে মায়ের কথা শুনতেন না? মিনতি দেবীর উত্তর, “আমার কথা শুনলে তো আমি মেয়ের বিয়েই দিয়ে দিতাম। আজকালকার ছেলেমেয়েরা কি কোনও কথা শোনে?” তবে মিনতিদেবীর দাবী, দেওয়ানপাড়ার এই বাড়িতে বড় নেতা-মন্ত্রীদের আসা-যাওয়া ছিল না। তবে নিকটবর্তী একটি কলেজে একবার বড় একটি মিটিং হয়েছিল তৃণমূলের, তখন নিচুস্তরের কিছু নেতা বাড়িতে এসেছিলেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad