তৃণমূলের "২১শে জুলাই" কে "জিহাদ দিবস" বলে কটাক্ষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুরে এক কর্মী সভায় এসে শুভেন্দু একথা বলেন।
তিনি বলেন, "২১শে জুলাই গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যে কর্মসূচি তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেছেন, সেটা হবে জিহাদ দিবস। একুশে জুলাই বিজেপির বিরুদ্ধে জিহাদ হবে। আর সেই জন্য পুলিশের মরিয়া প্রয়াস। মমতা ব্যানার্জিকে খুশি করার জন্য মমতার পুলিশ সরকারি আইনজীবির মধ্য দিয়ে এই ধরনের শাওয়াল করেছে।"
উল্লেখ্য, তৃণমূলের একুশে জুলাই-এর দিনই বিজেপির তরফে উলুবেরিয়া চলো ডাক দেওয়া হয়। বিজেপির সেই কর্মসূচির যৌক্তিকতা নিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে। আদালতের সেই নির্দেশ প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর এই অভিমত।
তিনি আরও বলেন, "আদালত যে নির্দেশ দেবে তার দল সেই নির্দেশ মানবে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, চিরদিন তো আর তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে না। দার্জিলিং থেকে দীঘা, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ কোনও জাতীয় রাজনৈতিক দলের বড় কর্মসূচি থাকলে তারা রাজ্যের কোথাও সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারবে না।"
তার মতে "আদালতের এই নির্দেশ নজিরবিহীন হয়ে থাকবে। পিসি ভাইপোর ক্ষেত্রে বুমেরং হয়ে দাঁড়াতে পারে।" তিনি আবারও বলেন, "এটা জিহাদ দিবস, শহীদ দিবস নয়। টুকরো টুকরো ছবিই সে কথা বলছে। ডিজে বাজছে আর পাগলু ডান্স হচ্ছে।"
শুভেন্দুর কথায়, "আমি পশ্চিমবাংলার মানুষকে অনুরোধ করব যে, আপনারা সিএএ নিয়ে জেহাদ দেখেছেন, ভোট পরবর্তী হিংসা দেখেছেন, নূপুর শর্মা ইসুতে সহিংসতা দেখেছেন। আর এবার একুশে জুলাই সতর্ক থাকবেন, সাবধানে থাকবেন। এটাও বলব যে, দিনের বেলায় আপনারা নিশ্চিন্তে গরু বেঁধে রাখতে পারেন, জামা কাপড় বাইরে শুকাতে পারেন কারণ ওই দিন সব চোর গুলো কলকাতা আসছে।"
শুভেন্দু বলেন, "তৃণমূলের কোনও রাজনৈতিক আদর্শ নেই। এটা একটা কোম্পানি। যশবন্ত সিনহাকে গাছে তুলেও মনোনয়ান জমা দেওয়ার সময় তারা যায় নি। উপরাষ্ট্রপতি ইস্যুতেও তারা এক কাজ করলো। ওরা না ঘরকা, না ঘটকা।"
ডলারের তুলনায় টাকার দামের পতন নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "কোভিড অতিমারীর মধ্যেও ভারত অর্থনীতি ও জিডিপির ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশকে গম দিয়ে সাহায্য করছে, শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত বিশ্বগুরু হতে যাচ্ছে।"
No comments:
Post a Comment