শিলিগুড়ি: উপ-প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ির, নকশালবাড়ি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। নব নির্বাচিত উপপ্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষকে দীর্ঘক্ষণ দলীয় কার্যালয়ে ঘেরাও করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। পরে দলীয় নেতৃত্ব ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় ফের আরও একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের দলীয় কোন্দল।
সোমবার শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি, হাতিঘিষা ও মুনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়। নির্বাচন করা হয় প্রধান ও উপপ্রধান। হাতিঘিষা ও মুনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনরকম সমস্যা না হলেও উপপ্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় নকশালবাড়িতে। এদিন সর্বসম্মতিক্রমে নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচিত হন জয়ন্তী কিড়ো। এরপর উপপ্রধান পদে বিশ্বজিৎ ঘোষের নাম ঘোষণা হতেই দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানান, উপপ্রধান পদে বিশ্বজিৎ ঘোষের পাশাপাশি দাবীদার ছিলেন মহম্মদ কালাম ও জগবন্ধু বর্মণ। স্থানীয় নেতৃত্ব নিজেদের ক্ষমতাবলে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে উপপ্রধান পদে নির্বাচিত করেছেন। এরপরই তৃণমূলের দলীয় কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নকশালবাড়ির দলীয় কার্যালয়ে।
বেশ কিছুক্ষণ দলীয় কার্যালয়ে ঘেরাও করে রাখা হয় নব নির্বাচিত উপপ্রধানকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নকশালবাড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে পুলিশ ও দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা রঞ্জন শীলশর্মা বলেন, গোষ্ঠী দ্বন্দের বিষয় নেই, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। সবাই মেনে নিয়েছেন উপপ্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষকে।
অন্যদিকে নকশালবাড়ির পাশাপাশি মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন গৌতম ঘোষ এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন রঞ্জন চিক বড়াইক। হাতিঘিসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন কেটরিন তামাং এবং উপপ্রধান হয়েছেন লক্ষ্মী রায় সিংহ।
No comments:
Post a Comment