মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমা হামলার খবর সামনে আসছে। বলা হচ্ছে, 21 জুলাই কলকাতায় ‘শহীদ দিবসের সমাবেশে’ অংশ নিতে গিয়েছিলেন এই শ্রমিকরা। সমাবেশ শেষে সবাই ফিরছিলেন, যখন হুগলি জেলার আরামবাগে তাদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় গ্রুপ একে অপরকে আক্রমণ করে। নাশকতার পাশাপাশি বোমাবাজিও হয়েছে। সংঘর্ষে দলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। সবাইকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
21 জুলাই তৃণমূল কংগ্রেস একটি 'শহীদ দিবসের সমাবেশের' আয়োজন করেছিল। এই সমাবেশে অংশ নিতে সারা বাংলা থেকে তৃণমূল কর্মীরা কলকাতায় পৌঁছেছিলেন। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র এবং তৃণমূল যুব শাখার সভাপতি পলাশ রায় তাদের নিজ নিজ কর্মীদের নিয়ে সমাবেশে অংশ নিতে এসেছিলেন। সমাবেশ শেষে ফেরার সময় প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র ও পলাশ রায়ের কর্মীরা পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। উভয় গ্রুপের সমর্থকরা একে অপরকে বোমাবর্ষণ শুরু করে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ পুলিশ প্রশমিত করলেও ততক্ষণে অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। পুলিশ তড়িঘড়ি করে সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এসডিওপি আরামবাগ অভিষেক মণ্ডল ও আইসি বরুণ ঘোষের নেতৃত্বে আরআরএফ ও পুলিশের দল কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এখনও অবধি তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসছে, তবে এবার তৃণমূলের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-সহ তিনজনকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। বলা হচ্ছে যে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা তৃণমূল নেতা স্বপন মাঝি এবং তার দুই সহযোগীকে বাইকে করে গুলি চালায়, যার কারণে ঘটনাস্থলেই তিনজনই মারা যান।
No comments:
Post a Comment