বর্তমানে একাধিক ইস্যুতে বাংলার রাজনৈতিক আলোড়ন তুঙ্গে। এরই মধ্যে একটি হল বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে আলোচনা। আজকাল বাংলায় কংগ্রেস এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) মধ্যে বেশ সংহতি দেখা যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যৌথ আন্দোলনের মতো দুই বাহিনীর নেতাদের সাম্প্রতিক কিছু উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস-বামফ্রন্টকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি এমন একটি ইস্যু যা নিয়ে কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম) উভয়ই রাজ্যে একটি যৌথ আন্দোলন শুরু করতে চায়। এই প্রস্তাব দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এরই মধ্যে, মনে করা হচ্ছে আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম)-এর মধ্যে জোট হতে পারে।
কংগ্রেস নেতা বলেন, 'আমরা চাই বাম দলগুলো আমাদের সঙ্গে গোটা রাজ্যে গণআন্দোলন করুক। একে দেশব্যাপী গণআন্দোলনের রূপ দেওয়া হবে। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক এবং পার্টি পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিমের মতে, রাজ্যের বিভিন্ন অংশে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে, তবে আন্দোলনটি অত্যন্ত অসংগঠিত।
সেলিম বলেন, 'ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে ব্যাপক গোলমাল হয়েছে। এই অসংগঠিত আন্দোলনগুলিকে এক ছাতার নীচে আনার প্রয়োজন রয়েছে এবং এই উদ্দেশ্যে আমরা এই বিষয়ে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট যৌথ আন্দোলনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই।'
এই যৌথ আন্দোলনকে দীর্ঘমেয়াদে নির্বাচনী ব্যবস্থার ভিত্তি হিসাবে দেখা নিয়ে সেলিম বলেন, "তারা সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিকে ডাকছে, যারা বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস উভয়েরই বিরুদ্ধে। যৌথ আন্দোলনের এই উদ্যোগের পেছনে বৃহত্তর রাজনৈতিক সমীকরণ দেখার কোনও কারণ নেই।"
ওদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'এটি দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক সমীকরণ বিবেচনা করার বিষয় নয়, কারণ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য অনেক সময় বাকি রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমল কুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, যৌথ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে শক্তি পেতে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট একজোট হতে পারে। কারণ উভয়েরই সংসদে সদস্য সংখ্যা শূন্য।
No comments:
Post a Comment