বর্ষাকালে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে মশা দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এবং এর ফলে মশাবাহিত অনেক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আজকাল ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। এর পাশাপাশি জিকা ভাইরাসের আতঙ্কও মানুষকে চিন্তায় ফেলেছে। জিকা ভাইরাস একটি মারাত্মক ভাইরাস, যা মশা দ্বারা ছড়ায়, যা এডিস প্রজাতির মশার কামড়ে হয়। এদিকে মশা- চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুও ছড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে যে জিকা ভাইরাসের লক্ষণগুলি কী এবং কীভাবে এটি প্রতিরোধ করা যায়, তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক জিকা ভাইরাস সম্পর্কে-
জিকা ভাইরাস কি?
জিকা (ZEE-kuh) ভাইরাস মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত বেশিরভাগ মানুষেরই সাধারণ উপসর্গ থাকে- যেমন হালকা জ্বর, ফুসকুড়ি এবং পেশীতে ব্যথা। কিন্তু গুরুতর ক্ষেত্রে, জিকা ভাইরাস মস্তিষ্ক বা স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে, যেমন গুইলেন-বারে সিনড্রোম, মাইক্রোসেফালি ইত্যাদি।
জিকা ভাইরাসের লক্ষণ-
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের প্রথম দিকে কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। তবে এর কিছু লক্ষণ ২ থেকে ১৪ দিন পর শুরু হয়। উপসর্গগুলি নিম্নরূপ-
অল্প জ্বর
শরীরে ফুসকুড়ি
জয়েন্টে ব্যথা (হাতে বা পায়ে)
লাল চোখ
পেশী ব্যথা
মাথাব্যথা
চোখ ব্যাথা
ক্লান্তি বা অস্থিরতা
পেট ব্যথা
জিকা ভাইরাসের সঙ্কটজনক অবস্থা-
মস্তিষ্কের আকার ছোট বা বড়
মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং মস্তিষ্কের টিস্যুর ক্ষতি
জিকা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়-
জিকা ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য বর্তমানে কোনও ভ্যাকসিন নেই, তবে আপনার ঝুঁকি কমাতে আপনি কিছু পদক্ষেপ করতে পারেন। যেমন, মশা আক্রান্ত এলাকায় গেলে লম্বা হাতা শার্ট, লম্বা প্যান্ট, মোজা এবং জুতা পরুন। বাড়িতে কীটনাশক ব্যবহার করুন। গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের অতিরিক্ত যত্ন নিন। বাড়ির আশেপাশে ট্যাঙ্ক, টায়ার ইত্যাদিতে জল জমা হতে দেবেন না।
No comments:
Post a Comment