আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার ১৭টি ভ্রূণ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। মঙ্গলবার, উলুবেড়িয়া পৌরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাণীতলা খাঁ পাড়ার ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে এই ভ্রূণগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আবর্জনা সরাতে ও পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন পুরসভার সাফাই কর্মীরা। সেখানেই তারা নবজাতক ভ্রূণের সন্ধান পান। জানা গিয়েছে, ১৭টি ভ্রূণের মধ্যে ১০টি মেয়ে এবং সাতটি ছেলে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, দেড় কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে উলুবেড়িয়ায় প্রায় ৩০টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, গর্ভপাতের পর ভ্রুণগুলো ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া ভ্রুণগুলো ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিন ভ্রূণ উদ্ধারের খবর পেয়ে পুলিশ ও উলুবেড়িয়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমানুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এই সব নবজাতক শিশু ও ভ্রূণ দীর্ঘদিন ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পড়ে ছিল। তাদের মুখে নিয়ে কুকুরগুলো এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। পুরসভাকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পুরসভা এলাকার মানুষের একাংশের অভিযোগ, উলুবেড়িয়া নার্সিংহোমে ভ্রূণ হত্যা করা হচ্ছে, যদিও এটি নিষিদ্ধ, তবুও ভ্রূণের পরীক্ষা এবং অবৈধ গর্ভপাত করানো হয়। হাওড়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিতাই চন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন যে, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি উলুবেড়িয়ার কোনও বেসরকারি হাসপাতালের কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে। স্থানীয় নার্সিংহোমকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং এলাকার সিসিটিভি থেকে ফুটেজও সংগ্রহ করা হবে, যাতে যারা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলে তাদের চিহ্নিত করা যায়।
No comments:
Post a Comment