বর্তমান সময় আমরা আমাদের জীবন বিভিন্ন রকম গ্যাজেট ছাড়া ভাবতেও পারি না। মোবাইল ফোন একটি অতি প্রয়োজনীয় একটি গ্যাজেট আজকাল সবার জন্য।তবে আপনি কি জানেন অতিরিক্ত গ্যাজেট ব্যবহার আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
স্মার্ট ঘড়ি এবং অন্যান্য ফিটনেস সরঞ্জামগুলির ক্রমাগত ব্যবহার টেনশন বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেক সময় এমন হয় যে এগুলো ব্যবহার করলে দুশ্চিন্তাও বেড়ে যায়।
স্মার্ট ঘড়ি :
স্মার্ট ঘড়ি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্মার্ট ঘড়িতে যদি সারাক্ষণ বিপি-এর আপডেট পাওয়া যায় এবং এর জন্য টেনশনে চলে আসেন যদি এটি কম বা বেশি হয় তবে তাকে নোসিবো ইফেক্ট বলে।
অনেক গবেষণায় এটা উঠে এসেছে যে, রক্তে অক্সিজেন বা হার্ট বিট সব সময় পর্যবেক্ষণ করলে মানসিক চাপ বাড়ে।
নিজের ঘুমের ধরণ :
যদি বলা হয় যে ৮ ঘন্টা ঘুমাতেই হবে, তাহলে স্বাভাবিকের মতো ঘুমানো যায়না। একইভাবে, যদি ঘুম পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি স্মার্ট ঘড়ি পরে ঘুমানো হয়, তাহলে সেই গভীর ঘুম কখনও হবে না।
স্ট্রেস :
বিপি একটু কম হওয়ার পর যদি নোটিফিকেশন আসতে শুরু করে, তাহলে স্ট্রেস বাড়তে থাকে, তাই সব সময় বিপি পর্যবেক্ষণ করবেন না।
হার্ট বিট :
স্মার্ট ওয়াচে সব সময় হার্ট বিট মনিটরিং করা ভালো কিছু নয়। খেলাধুলা বা অন্য কোনো কাজে হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে ঘড়িতে তার নোটিফিকেশন আসতে শুরু করে, যার ফলে মানসিক চাপ আরও বেড়ে যায়।
এই সমস্ত গ্যাজেটগুলি সেই সমস্ত লোকদের জন্য ভাল যারা এই জিনিসগুলিকে পাত্তা দেয় না, তবে অতিরিক্ত সংবেদনশীল লোকেদের এই গ্যাজেটগুলি কম ব্যবহার করাই ভাল।
No comments:
Post a Comment