আজকাল, মিথ্যা কথা বলাকে যেন সবাই তাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে ফেলেছে। মিথ্যা কথা না বলে কারও কাজ চলে না। যেখানে আমাদের দেশে একটা সময় ছিল, যখন মিথ্যাকে পাপ হিসাবে দেখত।
কিন্তু এখন মানুষ মিথ্যাকে তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র বলে মনে করে, যা তাদের সঙ্গে থাকে সবসময়। কিন্তু কেউ কি কখনোও জানার চেষ্টা করেছে কেন মানুষ মিথ্যা না বলে বাঁচতে পারে না? তাই আজ আমরা আপনাকে এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণ বলব, যা জানলে আপনি অবাক হবেন। দুই দশক আগে, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক বেলা ডি পাওলো ভিন্নভাবে মিথ্যা বলার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছিলেন, তারপরে এটি নথিভুক্তও হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, পাওলো, তার দলের সদস্য, ১৪৭ জন যুবককে একটি নোট বইয়ে লিখতে বলেছিলেন যে তারা প্রতি সপ্তাহে কতবার মিথ্যা কথা বলেছিল, যার পরে সত্যটি সামনে আসে যে প্রত্যেক ব্যক্তি দিনে গড়ে একবার বা দুবার মিথ্যা বলেছেন। এই মিথ্যার অধিকাংশই কারো ক্ষতি করতে যাচ্ছিল না। বরং তাদের উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের ত্রুটি-বিচ্যুতি আড়াল করা বা অন্যের অনুভূতি রক্ষা করা। যাইহোক, পরবর্তী গবেষণায়, পাওলো দেখেছে যে বেশিরভাগই এক বা একাধিক অনুষ্ঠানে বড় মিথ্যা বলেছে - যেমন বিয়ের বাইরের সম্পর্কের বিষয়ে মিথ্যা বলা।
লোকেরা মিথ্যার বিজ্ঞান থেকে বিরত থাকে না কারণ কোথাও এটি আমাদের মানুষের ডিএনএর অংশ। এ নিয়ে ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক’ও এর পেছনের বিজ্ঞান বোঝার চেষ্টা করেছে। এর মতে- মানুষের মধ্যে মিথ্যা বলার প্রতিভা নতুন নয়। গবেষণা পরামর্শ দেয় যে ভাষার উৎপত্তির পরেই মিথ্যা বলা আমাদের আচরণের একটি অংশ হয়ে উঠেছে।
No comments:
Post a Comment