অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি আবারও ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা দখল নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। একের পর এক খবর ট্যাগ করে, ওয়াইসি বলেন, ডেমচোক সম্পর্কে নতুন প্রতিবেদন আবারও দেখায় যে, সরকার চীনের বিরুদ্ধে আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। একইসঙ্গে চীনকে তুষ্ট করার বর্তমান নীতিও বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।
ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা দখলের খবর নিয়ে ৫টি ট্যুইট করেছেন ওয়াইসি। তিনি বলেন, 'আমি ক্রমাগত চীন সীমান্তে আমাদের সরকারের দুর্বল অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলতেও ভয় পাচ্ছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অর্থহীন বক্তব্য অব্যাহত।'
তার দ্বিতীয় ট্যুইটে, ওয়াইসি বলেছেন, "ডেমচোক সম্পর্কে সর্বশেষ প্রতিবেদন আবারও দেখায় যে সরকার চীনের বিরুদ্ধে তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের বেসামরিক নাগরিকরা এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ,যখন চীনা সামরিক বাহিনী আমাদের নিজেদের ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে বাধা দিচ্ছে।"
তিনি বলেন, “একজন প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রীকে দিল্লীতে এসে সীমান্তে চীনাদের দ্বারা নির্মিত বিশাল পরিকাঠামো নিয়ে কথা বলতে হবে, যার অর্থ তারা পিছু হটছে না। আরেকটি স্যাটেলাইট ইমেজ নিশ্চিত করে যে, তারা প্যাংগং এলাকায় রয়ে গেছে।"
হায়দরাবাদের সাংসদ ওয়াইসি আবারও চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধকে লক্ষ্য করে বলেন, 'ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতা সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবী করে, যেখানে আমাদের চীন নীতি, এলএসি-তে অবস্থান এবং আমাদের প্রতিক্রিয়ার ওপর সম্পূর্ণভাবে বিতর্ক করা উচিৎ।'
তিনি অন্য আরেকটি ট্যুইটে বলেন, 'রাজনৈতিক নেতৃত্বের উচিৎ আমাদের সৈন্যদের বীরত্ব ও সাহসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বন্ধ করা। পরিবর্তে তাকে তার সিদ্ধান্তের জন্য দায়িত্ব নিতে শিখতে হবে এবং তার কর্মের পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। চীনকে খুশি করার বর্তমান নীতিরও অবসান হওয়া উচিৎ।'
এর আগে, ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য হিন্দু-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিক বলেছিলেন, ২১ আগস্ট লাদাখের ডেমচোকে চীনা সেনারা ভারতীয় রাখালদের আটকায়। আধিকারিকের মতে, চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ডেমচোকের সিএনএন জংশনে স্যাডল পাসের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে রাখালদের উপস্থিতিতে আপত্তি জানায়। এই ঘটনার পরে, সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চীনা সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের মধ্যে কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওই আধিকারিক আরও বলেন, রাখালরা প্রতিনিয়ত সেই এলাকায় আসছে। তবে, ২০১৯ সালেও একটি ছোটখাটো ঝগড়া হয়েছিল। আধিকারিক বলেন, 'এবার রাখালরা পশু নিয়ে সেখানে গেলে চীনারা আপত্তি জানায় যে, এটি তাদের এলাকা। বিষয়টি চীনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।'
এই বিষয়ে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাথে যুক্ত একটি সূত্র জানিয়েছে যে, দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনও মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়নি। সূত্র জানায়, "এটি স্থানীয় পর্যায়ে স্থানীয় কমান্ডারদের মধ্যে সমস্যাগুলির সমাধান এবং এলএসি বরাবর শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একটি নিয়মিত মিথঃস্ক্রিয়া ছিল।"
No comments:
Post a Comment