একটি শিশু যখন জন্ম নেয়, তখন তার সাথে বাবা-মায়ের দায়িত্বও বেড়ে যায়। ছোট বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া সহজ কাজ নয়। তাদের খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে তাদের শারীরিক পরিচর্যা পর্যন্ত অভিভাবকদের খুব যত্ন নিতে হবে। শিশুর শরীরের অন্যান্য অঙ্গের যেমন অনেক যত্নের প্রয়োজন, তেমনি তাদের চোখের যত্ন নেওয়াও জরুরি। আপনার শিশু যখন প্রথমবার চোখ খোলে এবং পৃথিবীকে দেখবে, তখন আপনি হয়তো তার চোখ সুস্থ দেখতে পাবেন, কিন্তু নবজাতক শিশুদের চোখে প্রায়ই অনেক ধরনের সমস্যা দেখা যায়, যেমন চোখের আঠা, হলুদ বা লাল চোখ। কিছু সাধারণ সমস্যা আছে। এমনকি আমরা নিজেরা এমন অনেক ভুল করে থাকি যা তাদের চোখের ক্ষতি করে।
এখন প্রশ্ন হল কিভাবে আপনি শিশুর চোখের যত্ন নিতে পারেন। এই নিবন্ধে, আমরা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সাঁচি রাস্তোগীর কাছ থেকে শিখব, শিশুর চোখের যত্ন নেওয়ার কিছু সহজ টিপস।
কিভাবে শিশুর চোখের যত্ন নেবেন?
১. প্রতিদিন আপনার শিশুর চোখ পরিষ্কার করুন
ছোট বাচ্চাদের চোখ প্রতিদিন পরিষ্কার করা জরুরি। কারণ বড়দের মতো ছোটদের চোখেও ময়লা যায়। যা তাদের চোখের ক্ষতি করতে পারে। আপনার শিশুর চোখ পরিষ্কার করতে ঠাণ্ডা বা হালকা গরম বা ফুটানো জল নিন এবং তাতে একটি পরিষ্কার তুলা ডুবিয়ে রাখুন। এর সাহায্যে শিশুর চোখের ভেতর থেকে বাইরের অংশ পর্যন্ত ভালোভাবে ও সাবধানে পরিষ্কার করুন। পরিষ্কার করার সময় তুলার বাইরে থেকে ভিতরের দিকে না সরানোর বিষয়ে খেয়াল রাখুন, কারণ এতে শিশুর চোখে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। দিনে অন্তত ১-২ বার আপনার শিশুর চোখ পরিষ্কার করতে হবে।
২. শিশুর চোখে কাজল লাগাবেন না
আপনি নিশ্চয়ই ছোট বাচ্চাদের চোখে কাজল লাগাতে দেখেছেন মানুষ। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে শিশুদের চোখে কাজল লাগালে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। এছাড়াও, মাসকারার কণা শিশুর চোখের কাছে অবস্থিত অবরুদ্ধ টিয়ার নালীর ছোট ছিদ্রগুলিকে ব্লক করতে পারে। এটি নাসোলাক্রিমাল নালীতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা শিশুর চোখে জল বা আঠালো হতে পারে।
কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে
ডাঃ সাঁচির মতে, আপনি যদি চটচটে পদার্থ বা চোখে হলুদ ভাব, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখের কোণে ফোলা বা পিণ্ডের মতো সমস্যা লক্ষ্য করেন, তবে আপনার অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। যেকোনো ধরনের প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন কারণ এটি শিশুর চোখের ক্ষতি করতে পারে।
আমি কি শিশুর চোখে চোখের ড্রপ দিতে পারি?
ডক্টর সাঁচির মতে, যদি শিশুর চোখ বা নালী সংক্রমিত হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই শিশুর চোখে অ্যান্টিবায়োটিক মলম বা ড্রপ লাগাতে হবে। চোখের সংক্রমণ পরিষ্কার হতে সাধারণত ৩-৫ দিন সময় লাগে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ড্রপ বা মলম ব্যবহার করবেন না।
No comments:
Post a Comment