গত কয়েক বছরে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠী দ্রুত বেড়েছে। বিপুল সংখ্যক নতুন সদস্য দলে যোগ দিয়েছেন। এই নতুন সদস্যদের দলের রীতিনীতি বোঝাতে আগামী ২৯ থেকে ৩১ আগস্ট চিন্তন শিবিরের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড। প্রায় পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই চিন্তন শিবিরটি নিউটাউনের একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হবে। এই চিন্তন শিবিরে রাজ্য জুড়ে প্রায় সাড়ে তিনশো দলীয় কর্মী অংশ নেবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য জুড়ে বড় মাপের সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালানো হচ্ছে। এই প্রচারের কারণে, দলটি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসন জিতেছিল। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনেও দলটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। বলা হচ্ছে, দলের তরফে যে প্রচার চালানো হচ্ছে তাতে বিপুল সংখ্যক নতুন কর্মী বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। যেহেতু এই নতুন কর্মীরা দলের রীতিনীতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নন, তাই তাদের কাছে দলের লাইন বোঝানোর জন্য একটি চিন্তন শিবিরের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হয়েছিল।
এই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি দলের হাইকমান্ডকে অনুরোধ করেছিল বঙ্গ বিজেপি। এখন হাইকমান্ডের অনুমতি পেয়ে চিন্তন শিবিরের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। ২০১৭ সালে হলদিয়ায় দলের প্রথম চিন্তন শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচনও এই বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনের ঠিক আগে আয়োজিত এই চিন্তন কাম প্রশিক্ষণ শিবিরকে রাজনৈতিক মহলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দলীয় সূত্রে খবর, ২৯ থেকে ৩১ আগস্ট নিউটাউনের রিসোর্টে আয়োজিত এই চিন্তন শিবিরে প্রধান বক্তা থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বক্তাদের মধ্যে বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শমীক ভট্টাচার্যকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দিল্লী থেকে বিএল সন্তোষ, সম্বিত পাত্র সহ আরও অনেক নেতাও এই শিবিরে অংশ নিতে আসছেন।
দলীয় আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শিবিরে অংশগ্রহণকারী নেতাদের যেকোনও অবস্থাতেই ২৯ আগস্ট সকাল ১১টার মধ্যে রিসোর্টে পৌঁছাতে হবে। নেতাদের গাড়ির পার্কিং হবে রিসোর্টের বাইরে। নিরাপত্তারক্ষীরা গেটের ভেতরে যেতে পারবে না, কোনও যানবাহনও যেতে পারবে না। ভেতরে ঢুকলে কাউকে বের হতে দেওয়া হবে না। শিবির শেষ হলেই নেতারা বেরিয়ে আসতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment