প্রচণ্ড গরমের পর বর্ষাকাল মানুষের জন্য স্বস্তির উৎস হিসেবে আসে, কিন্তু এই পরিবর্তনশীল ঋতুতে সংক্রমণ ও রোগের ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, কখনও রোদের কারণে, কখনও বৃষ্টির কারণে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা সামঞ্জস্য করতে সমস্যা হয় এবং এর ফলে মানুষকে সর্দি, কাশি, সর্দি-কাশির সম্মুখীন হতে হয়। এগুলো এমন রোগ যার শিকার হতে পারে আশেপাশের লোকজনও।
সর্দি, কাশি এবং সর্দির ঘরোয়া প্রতিকার
যদি নাক এবং গলায় শ্লেষ্মা জমে থাকে এবং আপনি এটি অভ্যন্তরীণভাবে পরিষ্কার করতে চান তবে আপনি স্টিম থেরাপি ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য একটি ছোট পাত্রে জল ফুটিয়ে তাতে লবণ ও বাম মিশিয়ে নিন। তারপর তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে পাত্র দিয়ে গরম ভাপ নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে নাক ও গলা ভালোভাবে পরিষ্কার হবে এবং সর্দি থেকে আরাম পাওয়া যাবে।
সাধারণত কম মরিচ-মশলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে এই জিনিসগুলি কাশিতে ওষুধের মতো কাজ করে। লাল লঙ্কায় ক্যাপসাইসিন নামক রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায় যা শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করে। এটি ঠাণ্ডা ও গলা ব্যথাকে মূল থেকে নির্মূল করতেও কাজ করে। তাই পরিবর্তনশীল ঋতুতে যদি লাল লঙ্কা সীমিত পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
আনারস এমন একটি ফল যার মিষ্টতা আমাদের বেশির ভাগকেই আকৃষ্ট করে, কিন্তু জানেন কি এর রস পান করলে সর্দি-কাশি এবং যক্ষ্মা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর জন্য পাইন আপেলের রস লবণ, মধু ও কালো মরিচ মিশিয়ে পান করুন। এর ফলে গলায় উপস্থিত শ্লেষ্মা ধীরে ধীরে চলে যায়। এই রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করে।
No comments:
Post a Comment