'আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল সামনে আসবে, ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়', সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি- এমনই পোস্টার-হোডিংয়ে ছয়লাপ দক্ষিণ কলকাতা। যদিও খবর, কিছুক্ষণের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয় এই হোডিং, তবে রাজনৈতিক আঙিনায় এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানিয়েছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। অন্যদিকে, বিরোধীদের কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল চলতে পারবে না, আর দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল ভাবাও যায় না।' বুধবার প্রাতঃভ্রমণ সেরে খড়গপুরের ইন্দা বাজারে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি একথা বলেন। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'ইঞ্চি সাইজ থেকে ফুট সাইজ, তৃণমূলের সব নেতাই দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতির হাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। তাই মানুষকে বোকা বানানোর একটি নতুন ফান্ডা তৈরি করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমার মনে হয় না বাংলার মানুষ এই তৃণমূলের দিকে ঘুরে তাকাবে। দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূলও চলতে পারবে না আর দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল ভাবাও যায় না।
এই হোডিং নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, নতুন বোতলে পুরনো মদ। তৃণমূলের নীতির কোন পরিবর্তন হতে পারে?' এমনকি লুটেরার পার্টি বলেও তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানান সুজন।
মঙ্গলবার কালীঘাট, ভবানীপুর রাসবিহারী সহ একাধিক এলাকায় শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত পোস্টার-হোডিং নজরে আসে। সেগুলোর কোনওটাতে লেখা, 'চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন, এই লড়াই আমাদের ২৪-এর লড়াই।' আবার কোনওটাতে লেখা, 'আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল সামনে আসবে, ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়।' নীচে লেখা আশ্রিতা ও কলরব। নতুন তৃণমূল কি? আর হোডিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই বা ছবি নেই কেন? এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর তরজা।
এই হোডিং নিয়ে বিরোধীদের নিশানা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, 'যে দৃষ্টিভঙ্গিতে বিরোধীরা কথা বলছে, সেখান থেকে সরে এসে আলোচনা করা ভালো। অভিষেকের কোন সংলাপকে সামনে রেখে কেউ এই হোডিং দিয়েছেন, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দিয়েও হোডিং তৈরি হয়। এখানে এত আলোচনার মত কোনও ঘটনা ঘটেনি।'
No comments:
Post a Comment