ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং তাই প্রতিটি রোগে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ফল খাওয়া অবশ্যই শরীরের জন্য উপকারী, কিন্তু ডায়াবেটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। কিছু ফল আছে যা আমাদের চিনির মাত্রা বাড়াতে পারে। এ ধরনের ফল থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত।
উচ্চ চিনির ফল
ডায়াবেটিস বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো শরীরে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়া। খাবারের মাধ্যমে শরীরে চিনির মাত্রা বেশি হলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এই পরিস্থিতিতে, আমাদের উচ্চ চিনির মাত্রাযুক্ত ফল বেশি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। যদি কোনো ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা 100 থেকে 70 এর মধ্যে হয়, তাহলে এই ধরনের ফল ও সবজিতে চিনির মাত্রা বেশি থাকে। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে বা আপনি যদি এর লক্ষণগুলি দেখতে পান তবে উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত ফল খাওয়া উচিত নয়।
কোন ফল খাওয়া উচিত নয়?
মিষ্টি ফল যেমন তরমুজ, শুকনো বরই, আনারস, পাকা কলা, কমলালেবু, কিশমিশ, আঙুর এবং খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকে, এগুলো খেলে চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। এসব ফল খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
এসব ফল ছাড়াও কোল্ড ড্রিংকস, সাদা রুটি, সাদা ভাত এবং আলুতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা বেশি থাকে।
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ছাড়াও ফল, শাকসবজি এবং উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষতি করে। আম, আঙ্গুর, আপেল এবং কলায় কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে।
আপনি কোন ফল খেতে পারেন?
বরই, কিউই এবং জামুনের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে। এই ফলগুলো চিনিতেও খাওয়া যায়।
আপনি কত পরিমাণে ফল খেতে পারেন?
সাধারণত আমরা ধরে নিই যে ফল খেলে চিনির মাত্রা বেড়ে যায় এবং আমরা সেগুলোকে পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে শুরু করি, কিন্তু এটা ঠিক নয়। উচ্চ চিনি যুক্ত ফলও যদি সঠিক পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে ক্ষতিই করে না বরং উপকার হয়। যাইহোক, এটি আপনার শর্করার মাত্রার উপরও নির্ভর করে, তাই ডায়াবেটিসে যেকোনো ধরনের খাদ্য গ্রহণ করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment