স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম রামপ্রবেশ, বয়স ৪২ বছর। গত এক মাস ধরে গ্রামের কেন্দ্রস্থলে প্রায় ১০০ ফুট উঁচু একটি তাল গাছে উঠে বসবাস করছেন। রামপ্রবেশের স্বজনরা জানিয়েছেন, স্ত্রীর ভয়ে গত এক মাস ধরে তিনি এই কাজ করছেন। কাউকে কিছু বলছেনও না বা কিছু চাইছেনও না। তবে পরিবারের সদস্যরা তাকে গাছেই দড়ি দিয়ে বেঁধে খাবার, জল ইত্যাদি পৌঁছে দিচ্ছে এবং তিনি সেটাই খাচ্ছেন।
পাশাপাশি গ্রামবাসীরা জানায়, গভীর রাতে গাছ থেকে নেমে তার অন্যান্য কাজকর্ম করে রামপ্রবেশ আবার গাছে উঠে যান। রামপ্রবেশ এভাবে গাছে উঠে বসে থাকা নিয়ে পরিবারসহ গ্রামবাসীরাও অস্বস্তিতে। তাকে দ্রুত গাছ থেকে নামানোর জন্য লোকজন গ্রামের প্রধানের কাছে অভিযোগও করেছে। গ্রামপ্রধান সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানিয়েছেন, রামপ্রবেশের বিরুদ্ধে গোপনীয়তা হরণের অভিযোগ করেছেন বহু মহিলা। স্থানীয় থানায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং ভিডিও করে নিয়ে যায়।
রামপ্রবেশের বাবা বিশুনরাম অভিযোগ করেছেন যে, তার পুত্রবধূ প্রতিদিন তার ছেলের সঙ্গে ঝগড়া করে, তাকে মারধর করে। দিনভর মারামারি ও ঝগড়া-বিবাদে অস্থির হয়ে তার ছেলে প্রায় ২৫ দিন ধরে তাল গাছে বসবাস করছে। বিশুনরাম জানান, তার পুত্রবধূ ও তার ছেলের মধ্যে প্রতিদিন ঝগড়া হতো। অনেকবার দুজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। তিনি জানান, পুত্রবধূ তার ছেলেকে মারধর করত।
এদিকে গ্রামবাসীদের মতে, কেউ রামপ্রবেশকে বোঝাতে বা নামানোর চেষ্টা করলে তিনি গাছের ওপর রাখা ইট- পাথর দিয়ে আক্রমণ করেন, যাতে কেউ গাছের ধারে কাছে আসতে না পারে। আঘাত পাওয়ার ভয়ে কেউ গাছেও উঠতে সাহস দেখাচ্ছেন না। গ্রামবাসীদের মতে, রামপ্রবেশ তার সঙ্গে গাছে একটি ছাতাও রাখেন। কেউ ছবি তোলা শুরু করলে ঐ ছাতা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে।
No comments:
Post a Comment