ওজন কমানো এত সহজ নয়, কখনও কখনও কঠোর ডায়েট এবং ভারী ব্যায়াম সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় না। আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়া দিনের শুরুতে শুরু করা উচিত। বলা হয়ে থাকে যে সকালের জলখাবার আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, প্রথম কথা হল সকালের জলখাবার কখনই বাদ দেওয়া উচিত নয় কারণ এটি যে শক্তি দেয়, তার প্রভাব সারাদিন ধরে থাকে। এছাড়াও সকালের জলখাবারে স্বাস্থ্যকর না রাখলে ওজন কমানো স্বপ্ন মাত্র।
সকালের জলখাবারে ওটস খাওয়ার উপকারিতা
ভারতের বিখ্যাত পুষ্টি বিশেষজ্ঞ 'নিখিল ভাতস' জানিয়েছেন, সকালের জলখাবারে ওটস খাওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর বিকল্প। ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান এই খাবারে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
ওটস খাওয়ার উপকারিতাগুলো
১. ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিসের আক্রমণ
যারা ওজন বৃদ্ধি এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিসের মতো সমস্যায় ভুগছেন, তারা অবশ্যই সকালের জলখাবারে ওটস খান, এটি ওজন কমাতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
২. হজম
সঠিকভাবে ওজন কমানোর একটি বড় শর্ত হবে, এটি আপনার হজম প্রক্রিয়া আরও ভাল হওয়া উচিত। ওটসে পাওয়া ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালের জলখাবারে ওটস খাওয়া শুরু করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থাকবে না।
৩.আপনি আরামদায়ক ঘুম পাবেন। ওটসে মেলাটোনিন এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে যা ঘুমের হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খেলে ঘুমের সমস্যা দূর হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন অল্পবয়সী ব্যক্তির জন্য কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এর ফলে শরীরের ওজনও ঠিক থাকে।
৪. হৃদরোগ প্রতিরোধ
ওটস খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, কারণ এতে পাওয়া ডায়েটারি ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। এক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক, করোনারি আর্টারি ডিজিজ এবং ট্রিপল ভেসেল ডিজিজের ঝুঁকি কমে যায়।
৫. ত্বকের উপকারিতা
আপনি হয়ত জানেন না, কিন্তু ওটস খাওয়া আপনার ত্বকে দারুণ প্রভাব ফেলে। এটি ত্বকে জ্বালাপোড়া, চুলকানি, শুষ্কতা এবং জ্বালা কমায়। এটাকে 'ন্যাচারাল এক্সফোলিয়েটর' বললে হয়তো ভুল হবে না।
No comments:
Post a Comment