কিশমিশকে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী শুষ্ক ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর সেবন শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। খাদ্যের ব্যাঘাত এবং খারাপ জীবনযাত্রার কারণে হজম সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। হজমের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হল কোষ্ঠকাঠিন্য। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের মতো সমস্যায় কিশমিশ খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। শরীরের পুষ্টির পাশাপাশি কিশমিশে উপস্থিত বৈশিষ্ট্য হজম সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করতে কাজ করে। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার রয়েছে। পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার খুবই উপকারী। এ ছাড়া কিশমিশের সেবনও শরীরকে ডিটক্স করার জন্য খুবই উপকারী।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কিশমিশের উপকারিতা-
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এর সেবন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যে কোনো বয়সেই হতে পারে এবং এর প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয় আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা। এ ছাড়া গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও খুব সাধারণ। এমন পরিস্থিতিতে কিসমিস খাওয়া খুবই উপকারী। পেট ব্যথা, খিঁচুনি এবং বদহজমের মতো সমস্যায়ও কিশমিশ খাওয়া খুবই উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতাগুলো হলো-
1. কিশমিশে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে খুবই উপকারী।
2. প্রতিদিন কিশমিশ খেলে আপনার পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং এটি বদহজম, পেটের গ্যাস এবং অন্যান্য অনেক সমস্যায়ও উপকারী।
3. কিসমিস খাওয়া ওজন কমাতেও খুব উপকারী, এতে উপস্থিত ফাইবার পেট ভরা রাখে এবং বারবার ক্ষুধা লাগে না।
4. পেটে গ্যাস তৈরি হওয়া এবং অ্যাসিডিটির সমস্যায়ও কিশমিশ খাওয়া খুবই উপকারী। কিশমিশের জল পান করলে পেট পরিষ্কার থাকে।
5. শরীরে রক্তের অভাব দূর করতে কিসমিস সেবনও বেশ উপকারী, কিশমিশে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে কিশমিশ খাবেন কীভাবে?
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কিশমিশ নানাভাবে খাওয়া যায়। এ জন্য রাতে এক মুঠো কিশমিশ নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে কিশমিশ ছেঁকে সেবন করুন। এ ছাড়া কিশমিশের জল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা ছাড়াও আরও অনেক সমস্যায় কিসমিস সেবন খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের কিশমিশ খাওয়ার আগে অবশ্যই তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
No comments:
Post a Comment