পারিবারিক কলহের জের। বাবাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন সৎ মাও। ঘটনাটি নদীয়া জেলার। পুলিশি তদন্তের পর ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ছেলে বাপন হালদারকে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাপ্ত তথ্যমতে, মৃত ইন্দ্র দেবনাথ (৩৮) পেশায় দিনমজুর। দিন আনে দিন খায়। প্রতিবেশীদের দাবী, ইন্দ্র দেবনাথ দরিদ্র পরিবার থেকে এসেও পারিবারিক মানুষ ছিলেন।
তিনি নবদ্বীপের চন্দ্র কলোনি এলাকায় সন্তান ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। জানা গেছে, সোমবার সকালে হঠাৎ বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ছেলে। শরীরে একাধিক আঘাত করে বাবাকে খুন করে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন স্ত্রী সীমা হালদারও। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাতও কাটা হয়েছে।
নিহতের দাদা বাবু দেবনাথ বলেন, "পুরো ঘটনাটি মা-ছেলের ষড়যন্ত্র। দুজনেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগেও ইন্দ্রকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এর শাস্তি আমরা চাই।" সীমা হালদার বলেন, "আজ সকালে হঠাৎ দেখি ছেলে তার বাবার ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে, আমি তাকে বাঁচাতে গেলে সেও আমার ওপর হামলা চালায়।" অন্যদিকে, ঘটনার খবর দেওয়া হয় স্থানীয় নবদ্বীপ থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইন্দ্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তাকে নবদ্বীপ সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ইন্দ্রের বিয়ে হয়েছিল। স্ত্রী সীমা হালদারের সঙ্গে এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার সাথে তার প্রথম স্ত্রীর ছেলে বাপনও থাকতেন। সীমা দাবী করেন, রবিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে স্বামী-স্ত্রী ঘুমাতে যান। তিনি দাবী করেন, তার ছেলের মানসিক সমস্যা রয়েছে। রাতে ভালো ঘুম হয়নি।রবিবার মধ্যরাতে ছেলে মদ খেয়ে ঘরে ঢোকে। এরপর স্বামীর গলায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। সীমা চমকে জেগে উঠে। তার উপরও হামলা চালায় ছেলে।
No comments:
Post a Comment