শোপিয়ান জেলার নাগবালে তিন লস্কর-ই-তৈবা সন্ত্রাসী নিকেশ। এই সন্ত্রাসীরা এনকাউন্টার চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিকেশ হয়। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ট্যুইট করে এই তথ্য জানিয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। শোপিয়ানেই সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড দিয়ে সিআরপিএফের একটি গাড়িতে হামলা করেছিল। গাড়িটি বুলেট প্রুফ ছিল তাই কোনও ক্ষতি হয়নি।
শোপিয়ানের একটি আপেল বাগানে কাজ করতে যাওয়া এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে কয়েকদিন আগে খুন করা হয়েছিল। সুনীল কুমার তার ভাইয়ের সাথে কাজে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা সেখানে পৌঁছে তার নাম জিজ্ঞাসা করে। এর পর তারা গুলি চালায়। এ হামলায় সুনীল নিহত এবং তার ভাই পিন্টু আহত হন।
গত এক মাস ধরে উপত্যকায় একাধিক সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। চলতি মাসে বিহারের কিছু শ্রমিককে টার্গেট করেছিল সন্ত্রাসীরা। মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকেরও। সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তবে নিরাপত্তা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করা হচ্ছে। বুদগাম ও শ্রীনগরেও গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এছাড়া শ্রীনগরে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে গ্রেনেড ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা।
১১ আগস্ট সেনা ক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করছিল দুই সন্ত্রাসী। কিন্তু সেনাবাহিনী তার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়। এনকাউন্টারে আহত হয়েছেন পাঁচ জওয়ানও। একই সময়ে দুই সন্ত্রাসীকে গুলি করে নিকেশ করা হয়। বলা হয়েছে, দুই জঙ্গিই সেনা ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।
No comments:
Post a Comment