যৌতুকের কারণে মৃত্যু বা খুন সমাজের বিরুদ্ধে একটি অপরাধ। মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের একটি আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত আরও বলে, এই বিষয়ে কঠোর বার্তা দিতে হবে, যে ব্যক্তি এ ধরণের অপরাধ করবে তার সঙ্গে কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিভি নাগরত্নের একটি বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে যে, ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩০৪বি সামিল করার আইনী উদ্দেশ্য ছিল যৌতুকের কারণে খুনের অপরাধের সাথে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা। বেঞ্চ বলেছে, "ওপরের দিকগুলি বিবেচনায় রেখে, যৌতুকের কারণে খুনের জন্য শাস্তির বিষয়ে বিবেচনা করা দরকার।"
যৌতুক নিষেধাজ্ঞা আইনের অধীনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে মোকাবিলা করার মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় শ্বশুর-শাশুড়ির দায়ের করা আপিলের শুনানি করতে গিয়ে একথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
হাইকোর্ট ওই নারীর শ্বশুর-শাশুড়িকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই ওই নারী মারা যান। যৌতুকের কারণে মৃত্যুর প্রসঙ্গ উঠলে সুপ্রিম কোর্ট সমাজকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। একথা উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত বলে, সমাজের মধ্যে এই বার্তা স্পষ্ট হওয়া উচিৎ যে, যৌতুক নিষেধাজ্ঞা আইনে যৌতুকের কারণে মৃত্যু, অপরাধের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।
শ্বশুর-শাশুড়ির দায়ের করা পিটিশনে অভিযুক্তদের কাহিনী মিথ্যা আখ্যা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলে, ডিফেন্স তাদের কথা প্রমাণ করতে পারেনি। শীর্ষ আদালত বলেছে, 'বিয়ের এক বছরের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। ডাইরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে মিথ্যা গল্প বানিয়েছে অভিযুক্তরা, কিন্তু ডিফেন্স তা প্রমাণ করতে পারেনি।'
No comments:
Post a Comment