আল-জাওয়াহিরিকে খুন করায় যুক্তরাষ্ট্রকে নিন্দা তালেবানের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 2 August 2022

আল-জাওয়াহিরিকে খুন করায় যুক্তরাষ্ট্রকে নিন্দা তালেবানের



তালেবানও সন্ত্রাসী নেতা আয়মান-আল-জাওয়াহিরির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।  এর পাশাপাশি তারা আমেরিকার পক্ষ থেকে কাবুলে ড্রোন হামলায় জাওয়াহিরিকে খুনের নিন্দাও করেন।  আফগানিস্তানের সংবাদ ওয়েবসাইট 'টোলো নিউজ' জানায়, রবিবার সকালে কাবুলে একটি বিকট বিস্ফোরণ ঘটে।  এর আগে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল নাফি তাকোর দাবী করেছিলেন, 'শেরপুরে একটি বাড়িতে রকেট আঘাত হেনেছে।  বাড়ি খালি তাই কেউ মারা যায়নি।'  মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ তার টেলিভিশন ভাষণে বলেন যে আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন।  পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, এখন ন্যায়বিচার হয়েছে।


 

বলা হয় আল জাওয়াহিরি 11 সেপ্টেম্বর, 2001 সালে আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।  তিনি বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আমেরিকা তাকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল।  এর আগেও, জাওয়াহিরিকে খুনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছিল, কিন্তু জাওয়াহিরি নিজেই কয়েকবার টেপ প্রকাশ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।  তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কখনওই কোনও বিবৃতি জারি করে বলেননি যে জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন।  গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহার করে এবং তার ঠিক এক বছর পর এই বড় পদক্ষেপ নেয়।




জাওয়াহিরিকে খুনের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আল-কায়েদা প্রধানকে আশ্রয় দিয়ে তালেবানরা দোহা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।  ব্লিঙ্কেন একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, "একদিকে, তালেবান বিশ্বকে বলে আসছে যে তারা সন্ত্রাসীদের আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না।"  কিন্তু জাওয়াহিরিকে আশ্রয় দিয়ে তিনি দোহা চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন।  আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান বাহিনী প্রত্যাহারের আগে, 2020 সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল।  দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।



 এতে, তালেবানরা আমেরিকান বাহিনী প্রত্যাহারের পর সহিংসতার পথ ছেড়ে দেবে বলে সম্মত হয়েছিল।  এ ছাড়া আফগানিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসীদের গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না, যারা সেখান থেকে অন্য দেশের ক্ষতি করার পরিকল্পনা তৈরি করে।  ব্লিঙ্কেন বলেন, তালেবানরাও আফগানিস্তানের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।  এটি বিশ্বে তার সরকারের স্বীকৃতি এবং সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনাকেও প্রভাবিত করবে।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad